চৈতালি বেলা শেষে...এক বাংলাদেশী মেয়ের গপ্প.. দশম পর্ব (৫)....
দেবাশীষ মুখার্জী
নিলয়ের বাড়িতে দিন সাতেকের মতো গিয়ে থেকেছিলো মৌলি....হতে পারে একা একটা মেসে থাকতে গিয়ে একাকিত্ত্ব গ্রাস করছিলো তাকে...সদ্য মা কিছুদিন আগে ফিরে গেছেন বাংলাদেশ....মন খারাপের দিনগুলোতে মানুষের সঙ্গ সবাই চায়....
রাতে নিলয়ের বাড়িতে নিলয়ের মায়ের কাছে শুতো মৌলি...দিনের বেলাতে নিলয়ের মায়ের সাথে গল্পগুজব করে কাটাতো....
সেদিন নিলয়ের দিদির বাড়িতে একটা অনুষ্টান ছিলো...সবাই সেখানে গেলেও মৌলি রাজী ছিলো না যেতে...তার একটা অন্যতম কারন ছিলো...সেখানে গিয়ে সে নিজের কি পরিচয় দেবে....
যদিও আত্মীয়স্বজনরা বলেছিলো...কেন আমরা বলবো নিলয়ের হবু বউ...
নাহ...যুক্তিটা মনে ধরেনি মৌলির....
তাই নিলয়দের বাড়িতেই থাকার সিন্ধান্ত নিয়েছিলো সে....
বাড়িতে কেউ নেই...তাই একটু নিজের মতো করে দোতলার ঘরে শুয়ে দুপুরবেলা একটা গল্পের বই পড়ছিলো....
হটাৎ করে খোলা দরজার দিকে চোখ যেতেই দেখে নিলয় সেখানে দাঁড়িয়ে....
মৌলি অপ্রস্তুতে পড়ে তাড়াতাড়ি করে নিজেকে সামলে নিয়ে নিলয়কে বলে....
তুমি যাওনি....মানে বাড়িতে তো কেউ নেই...ইয়ে মানে তুমি ঘরে এলে...কিভাবে....!!!!!
আস্তে আস্তে করে নিলয় এগিয়ে আসে মৌলির কাছে...
বিছানায় বসে....হাত দিয়ে মুখটা লেগে থাকা ঘামগুলো মুছে নিয়ে বলে....
নাহ যাইনি আমি....ভালো লাগছে না যেতে....আর আমাদের বাড়ির পিছনে একটা দরজা আছে...ওটা দিয়েই বাড়িতে ঢুকেছি...
মৌলি বলে....কি করবে এখন...বাড়ি তো ফাঁকা...তুমি বরং ওখানে গেলেই ভালো করবে...সবাই হয়তো তোমার জন্য অপেক্ষা করবে....
নিলয় বিছানা থেকে উঠে একটু পায়চারী করে....বলে নাহ যাবো না...আজ এখানেই থাকবো....
মৌলি উত্তর না দিয়ে নিলয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে...কি যেন একটা অজানা ভয় মিশ্রিত ভালোলাগার আবেশ অনুভূতি আসে তার....এই মানুষটা তার কোন ক্ষতি করতে পারেনা...এটা সে মনেপ্রানে বিশ্বাস করে....
নিলয় মৌলির কাছে...খুব কাছে এগিয়ে আসে....
মৌলি কিছু বোঝার আগেই তার ঠোঁট দুটো তখন নিলয়ের ঠোঁটের দখলে....
কিছুক্ষনের জন্য একটা রুদ্ধশ্বাস দমবন্ধ পরিস্থিতি...কেউ কাউকে ছেড়ে দিতে চায় না....মৌলির প্রশ্বাসের আওয়াজে তাকে ছেড়ে দেয় নিলয়....
ছাড়া পেয়ে হাঁপিয়ে ওঠে মৌলি...
নিলয় কাছে গিয়ে প্রায় ঠোঁটের ওপর ঠোঁট রেখে বলে...ভালোবাসো আমাকে....??
ক্ষিপ্র বন্য হরিনি যেভাবে জবাব দেয়...মৌলিও সেইভাবে জবাব দেয়....
গেঞ্জির ওপর থেকে নিলয়ের বুকে একটা জোরে কামড় বসিয়ে বলে....শোধবোধ হয়ে গেলো....দমবন্ধের শোধ নিলাম...
নিলয় ব্যাথা বুঝতে না দিয়ে বলে....ভালোবাসো....
মৌলি আবার বলে....এভাবে সমর্পণ যে করে সে ভালোবাসে বলেই করে...তুমি আমার জীবনে প্রথম পুরুষ....
নিলয় যত্ন করে কখনো নিষ্ঠুরভাবে নিরাবরণ করতে থাকে মৌলিকে....
মৌলি নিলয়ের আদর ফিরিয়ে দেয় এক অব্যক্ত হিসহিসানিতে....
মৌলির শরীর যেখানে যেখানে নিরবরণ করে নিলয়...সেখানে সেখানেই ঠোঁট ছুইয়ে নিজের পুরুষত্ত্ব অর্পণ করে নিলয়....
এভাবে কোন পুরুষ যে আগে ছোঁয়নি মৌলিকে....
মাঝে মাঝেই মৌলির তীব্র শিৎকার প্রতিধ্বনিত হয় ঘরের চার দেওয়ালে....
নিলয়ের ঘন ঘন নিঃস্বাস যেন মৌলির শরীর মন্থন করে অমৃতের সন্ধানে মত্ত....
আর মৌলি....
কখন যে তীব্র এক আদরের অনুভুতিতে উগরে দেয় নিজের গহীন গোপন অস্তিত্ত্ব নিলয়ের পুরুষকারের কাছে....মনেই থাকে না....ভগবান তাই চোখ খোলা রাখেন না...
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়....বাড়ির লোক ফেরার সময় হয়ে গেছে....
নিলয় মৌলিকে বলে...এবার উঠে রেডি হয়ে নাও...সবার আসার সময় হয়ে গেলো...
রেডি হতে গিয়ে মৌলি দেখে অনেক কিছুই ছিঁড়ে ফেলেছে নিলয়....চাদরটা টেনে কোন ভাবে নিজের নগ্নতা ঢেকে নিয়লয়ে বলে....
ঘরের বাইরে যাও...এভাবে তোমার সামনে চেঞ্জ করতে পারবো না...সবই তো ছিঁড়েছো...
নিলয় ঘর থেকে বেরিয়ে যাবার সময় মুচকি হেসে বলে....আমার পিঠ জ্বলছে....আঁচড়ে দিয়েছো নখ দিয়ে...পরে একদিন দেখাবো....
মৌলি যথারীতি চেঞ্জ করে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়..
পরদিন আবার মেসে ফিরে যায় মৌলি....
একটা ভালোলাগার আবেশ থেকে আবেগ থেকে মৌলি সিন্ধান্ত নেয় নিলয়কে বিয়ে করবে...
সেই মতো বাড়ির সবাইকে জানিয়ে দেয় সে...
জেঠুও মত দেন বিয়ের পক্ষে....কিন্তু একটা শর্ত থাকে এই মতদানের জন্য....
চলবে....
নিলয়ের বাড়িতে দিন সাতেকের মতো গিয়ে থেকেছিলো মৌলি....হতে পারে একা একটা মেসে থাকতে গিয়ে একাকিত্ত্ব গ্রাস করছিলো তাকে...সদ্য মা কিছুদিন আগে ফিরে গেছেন বাংলাদেশ....মন খারাপের দিনগুলোতে মানুষের সঙ্গ সবাই চায়....
রাতে নিলয়ের বাড়িতে নিলয়ের মায়ের কাছে শুতো মৌলি...দিনের বেলাতে নিলয়ের মায়ের সাথে গল্পগুজব করে কাটাতো....
সেদিন নিলয়ের দিদির বাড়িতে একটা অনুষ্টান ছিলো...সবাই সেখানে গেলেও মৌলি রাজী ছিলো না যেতে...তার একটা অন্যতম কারন ছিলো...সেখানে গিয়ে সে নিজের কি পরিচয় দেবে....
যদিও আত্মীয়স্বজনরা বলেছিলো...কেন আমরা বলবো নিলয়ের হবু বউ...
নাহ...যুক্তিটা মনে ধরেনি মৌলির....
তাই নিলয়দের বাড়িতেই থাকার সিন্ধান্ত নিয়েছিলো সে....
বাড়িতে কেউ নেই...তাই একটু নিজের মতো করে দোতলার ঘরে শুয়ে দুপুরবেলা একটা গল্পের বই পড়ছিলো....
হটাৎ করে খোলা দরজার দিকে চোখ যেতেই দেখে নিলয় সেখানে দাঁড়িয়ে....
মৌলি অপ্রস্তুতে পড়ে তাড়াতাড়ি করে নিজেকে সামলে নিয়ে নিলয়কে বলে....
তুমি যাওনি....মানে বাড়িতে তো কেউ নেই...ইয়ে মানে তুমি ঘরে এলে...কিভাবে....!!!!!
আস্তে আস্তে করে নিলয় এগিয়ে আসে মৌলির কাছে...
বিছানায় বসে....হাত দিয়ে মুখটা লেগে থাকা ঘামগুলো মুছে নিয়ে বলে....
নাহ যাইনি আমি....ভালো লাগছে না যেতে....আর আমাদের বাড়ির পিছনে একটা দরজা আছে...ওটা দিয়েই বাড়িতে ঢুকেছি...
মৌলি বলে....কি করবে এখন...বাড়ি তো ফাঁকা...তুমি বরং ওখানে গেলেই ভালো করবে...সবাই হয়তো তোমার জন্য অপেক্ষা করবে....
নিলয় বিছানা থেকে উঠে একটু পায়চারী করে....বলে নাহ যাবো না...আজ এখানেই থাকবো....
মৌলি উত্তর না দিয়ে নিলয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে...কি যেন একটা অজানা ভয় মিশ্রিত ভালোলাগার আবেশ অনুভূতি আসে তার....এই মানুষটা তার কোন ক্ষতি করতে পারেনা...এটা সে মনেপ্রানে বিশ্বাস করে....
নিলয় মৌলির কাছে...খুব কাছে এগিয়ে আসে....
মৌলি কিছু বোঝার আগেই তার ঠোঁট দুটো তখন নিলয়ের ঠোঁটের দখলে....
কিছুক্ষনের জন্য একটা রুদ্ধশ্বাস দমবন্ধ পরিস্থিতি...কেউ কাউকে ছেড়ে দিতে চায় না....মৌলির প্রশ্বাসের আওয়াজে তাকে ছেড়ে দেয় নিলয়....
ছাড়া পেয়ে হাঁপিয়ে ওঠে মৌলি...
নিলয় কাছে গিয়ে প্রায় ঠোঁটের ওপর ঠোঁট রেখে বলে...ভালোবাসো আমাকে....??
ক্ষিপ্র বন্য হরিনি যেভাবে জবাব দেয়...মৌলিও সেইভাবে জবাব দেয়....
গেঞ্জির ওপর থেকে নিলয়ের বুকে একটা জোরে কামড় বসিয়ে বলে....শোধবোধ হয়ে গেলো....দমবন্ধের শোধ নিলাম...
নিলয় ব্যাথা বুঝতে না দিয়ে বলে....ভালোবাসো....
মৌলি আবার বলে....এভাবে সমর্পণ যে করে সে ভালোবাসে বলেই করে...তুমি আমার জীবনে প্রথম পুরুষ....
নিলয় যত্ন করে কখনো নিষ্ঠুরভাবে নিরাবরণ করতে থাকে মৌলিকে....
মৌলি নিলয়ের আদর ফিরিয়ে দেয় এক অব্যক্ত হিসহিসানিতে....
মৌলির শরীর যেখানে যেখানে নিরবরণ করে নিলয়...সেখানে সেখানেই ঠোঁট ছুইয়ে নিজের পুরুষত্ত্ব অর্পণ করে নিলয়....
এভাবে কোন পুরুষ যে আগে ছোঁয়নি মৌলিকে....
মাঝে মাঝেই মৌলির তীব্র শিৎকার প্রতিধ্বনিত হয় ঘরের চার দেওয়ালে....
নিলয়ের ঘন ঘন নিঃস্বাস যেন মৌলির শরীর মন্থন করে অমৃতের সন্ধানে মত্ত....
আর মৌলি....
কখন যে তীব্র এক আদরের অনুভুতিতে উগরে দেয় নিজের গহীন গোপন অস্তিত্ত্ব নিলয়ের পুরুষকারের কাছে....মনেই থাকে না....ভগবান তাই চোখ খোলা রাখেন না...
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়....বাড়ির লোক ফেরার সময় হয়ে গেছে....
নিলয় মৌলিকে বলে...এবার উঠে রেডি হয়ে নাও...সবার আসার সময় হয়ে গেলো...
রেডি হতে গিয়ে মৌলি দেখে অনেক কিছুই ছিঁড়ে ফেলেছে নিলয়....চাদরটা টেনে কোন ভাবে নিজের নগ্নতা ঢেকে নিয়লয়ে বলে....
ঘরের বাইরে যাও...এভাবে তোমার সামনে চেঞ্জ করতে পারবো না...সবই তো ছিঁড়েছো...
নিলয় ঘর থেকে বেরিয়ে যাবার সময় মুচকি হেসে বলে....আমার পিঠ জ্বলছে....আঁচড়ে দিয়েছো নখ দিয়ে...পরে একদিন দেখাবো....
মৌলি যথারীতি চেঞ্জ করে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়..
পরদিন আবার মেসে ফিরে যায় মৌলি....
একটা ভালোলাগার আবেশ থেকে আবেগ থেকে মৌলি সিন্ধান্ত নেয় নিলয়কে বিয়ে করবে...
সেই মতো বাড়ির সবাইকে জানিয়ে দেয় সে...
জেঠুও মত দেন বিয়ের পক্ষে....কিন্তু একটা শর্ত থাকে এই মতদানের জন্য....
চলবে....
কোন মন্তব্য নেই