Header Ads

সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আবদ্ধ মানুষদের আনতে সব সীমান্ত খুলে দেবে, ভিন রাজ্যের মানুষদের আনতে বিশেষ ট্রেন, বাস, ৪ মে থেকে রাতে কারফিউ জারি হবে


অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : সিকিম ছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে অসমের যে সব নাগরিক লকডাউনের ফলে আবদ্ধ হয়ে আছে, তাদের জন্য অসম সীমান্ত খুলে দিল। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে আবদ্ধ অসমিয়া মানুষদের ফিরে আসার পথও প্রশস্ত করে দিল সরকার। উত্তর-পূর্বাঞ্চল বা ভিন রাজ্য যেখান থেকেই আসুক না কেন সকলকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। কয়রেন্টিনে ১৪ দিন থাকতে হবে। আজ সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা একথা জানান। তিনি বলেন, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড সহ বিভিন্ন রাজ্যে আবদ্ধ মানুষ অসম সীমান্তে এলে অসমের সীমান্তবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ তাদের নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাবে। অসম সরকার ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা, নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমা সহ বিভিন্ন রাজধানীতে সরকারি বাস পরে পাঠাবে। তবে এখন নিজেদের উদ্যোগে অসম সীমান্তে আসতে হবে। ভিন রাজ্যে আবদ্ধ অসমের নাগরিকদের জন্যে 7428159966 নম্বরের একটি টেলিফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। এই   নম্বরে মিস কল দিলেই ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অসম সরকার নাম ঠিকানা ইত্যাদি জেনে ট্রেন, বাসের ব্যবস্থা করবে। মন্ত্রী জানান, বিমানে আনার একটা চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু কোনো যাত্রীর যদি পজিটিভ ধরা পড়ে তবে কোনো পাইলট বিমান আনতে রাজি হবে না। তিনি জানান, সব তথ্য জানার পর সরকার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলকে জানাবে কয়টি যাত্রীবাহী ট্রেন লাগবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজ্যে অসমের প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ আছে। সকলকে আনার ক্ষমতা সরকারের নেই। ৬ লক্ষ মানুষকে আনতে চাই। অসমের পাঠানো ট্রেন বাসের ভাড়া সরকার দেবে বলে জানান। তিনি আরও বলেন, রাজ্যের বাইরে আবদ্ধ ২ লক্ষ ৫৫ হাজার মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরকার ২ হাজার টাকা করে পাঠিয়েছে। অসমে ফিরে না আসা পর্যন্ত ওই সব ব্যাক্তিদের মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে সরকার ২ হাজার টাকা করে পাঠাবে। নির্দিষ্ট ফোন করার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সরকার লিঙ্ক দিয়ে দেবে আর যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো, নিজের গাড়ি নিয়ে অসমে আসতে চাইছে, তাদের assatransportrelief@gmail.com-এ নথিভুক্ত হতে হবে। তিনি জানান, আর্থিক সাহায্য চেয়ে ৬ লক্ষ ২৮ জন অসম কেয়ার-এর নামে নথিভুক্ত হয়েছেন। অসমের বাইরে থাকা ভিন রাজ্যের মানুষদের অসম সীমান্তে শ্রীরামপুর, বক্সিরহাটের কয়রেন্টিন সেন্টারে নতুবা কোকরাঝাড়ের সাইয়ের ময়দানে নির্মিত কয়রেন্টিন সেন্টারে ১৪ দিন রাখা হবে। সেখান থেকে গুয়াহাটির সরুসোজাই কয়রেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করা হতে পারে। তিনি জানান, ই সঞ্জীবনী সেবা নামে এক টেলি মেডিসিনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। 
১০৪ নম্বরে ফোন করে ডাক্তারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারবে। ইতিমধ্যে ১৭১ রোগী কথা বলেছেন। প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্যে ৫০ জন ডাক্তার রেডি আছেন। সরকার ইতিমধ্যে ৩১৪২ জনের বাড়িতে ঔষধ পৌঁছিয়ে দিয়েছে। লকডাউনের নীতি নির্দেশনা সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ৪ মে থেকে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয় সন্ধ্যে ৭ টা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত যানবাহন, মানুষ চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধের কথা বলেছে। সরাসরি কারফিউয়ের কথা বলেনি। তবে রাজ্য সরকারের উপর ছেড়ে দিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.