ভিন্ন দর্শন
করোনা, আমফান ও বইপড়া
ভাস্কর মজুমদার
এবার বই-দোকানিরা মুদির ব্যবসা করবেন, বইয়ের ব্যবসা ছেড়ে। এ এক বেশ ন্যায়সঙ্গত কথা।
আমফানের আগে দুই মাস ওদের কোনো ব্যবসা হয়নি দেশজুড়ে করোনা লকডাউনের জন্য। সরকার
বইকে পরিহার্য জিনিস করেছে। যদিও যুক্তি মতো, লকডাউনের সময় পড়ুয়াদের বই পড়ার বেশি অবকাশ।
আর, বইয়ের দোকানটাও মদের
দোকান নয় যে লোকেরা হুড়মুড়ি খেয়ে উপচে পড়বে, 'সামাজিক দূরত্বের' কথা না মেনে।
বই দোকানি বেচারাদের জন্য কথা বলার কেউ নেই।
তাই, বই 'পরিহার্য জিনিস' রয়ে গেল। আর, বই দোকানিরা মার খেলো। মনে পরে গেল সত্যজিৎ
রায়ের হীরক রাজার দেশ- 'জানার কোনো শেষ
নাই, জানার চেষ্টা
বৃথা তাই'।
অতএব, বই এক পরিহার্য জিনিস।
তারপর এলো আমফানের দৌরাত্ম্য।
সবাই দেখেছে, লকডাউনের সময় মুদির দোকান খোলা ছিলো। তাই বোধ
হয় বই দোকানিদের মুদির দোকান খোলার চিন্তা-ভাবনা।
কিন্তু, ক্ষতিটা কার হবে?
আপামর জনতা যারা শিক্ষিত হওয়ার আশায় আছে ।
লাভ?
ওদের, যারা চায়, জনতা অশিক্ষিত
থাকুক।
চিন্তার বিষয়।
ভাবা উচিত সবাইকে !
(লেখক নয়া দিল্লি নিবাসী।মতামত নিজস্ব।)









কোন মন্তব্য নেই