Header Ads

অসমে মহামারি করোনা আক্ৰান্তের সংখ্যা ক্ৰমশ বাড়ছে, বাড়ানো হচ্ছে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যাও

নয়া ঠাহর, গুয়াহাটি, ২০ মেঃ অসমে মহামারি করোনা ক্ৰমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বুধবার রাজ্যে নতুন করে ১৩টি কেস ধরা পড়েছে। তার মধ্যে ৮ টি হোজাই, ২টি শোনিতপুর, কামরূপ মেট্ৰো, কামরূপ এবং নগাঁওয়ে একটি করে ধরা পড়েছে। সৰ্বশেষ খবর পাওয়া পৰ্যন্ত অসমে করোনা আক্ৰান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ১৭০। তার মধ্যে ৪৮ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছে। অ্যাকটিভ কেস ১১৫ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের এবং পরিযায়ী ৩।  

গতকাল অৰ্থাৎ মঙ্গলবার রাজ্য নতুন করে ৪২ জনের শরীরে মহামারি কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি ধরা পড়েছে। কামরূপ মহানগর অৰ্থাৎ গুয়াহাটিতেই ৫৩ জনের শরীরে কোভিড -১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে। এই পরিস্থিতিতেও গুয়াহাটিকে এখনও অবধি রেড জোন ঘোষণা করা হয়নি, অরেঞ্জের মধ্যেই রয়েছে। যে সব এলাকায় কোভিড পজিটিভ ধরা পরছে সেই এলাকাগুলিকে ভিত্তি করে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এখন পৰ্যন্ত মহানগরে ১৬ টি জায়গাকে কনটেন্টমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
 ছবি, সৌঃ ইন্টারনেট
 করোনা আক্ৰান্ত ৪২ জনের মধ্যে ৩৭ জনকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। গুয়াহাটিবাসী সমেত রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সকলকেই পারত পক্ষে ঘরের ভেতরই থাকার জন্য বারে বারে আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা।

মহানগরের সরুসজাই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে করোনা আক্ৰান্ত তিন জন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। পরে নলবাড়ি এবং হোজাই পুলিশের তৎপরতায় হামিদুল আহমেদ, শ্বাজাহাল আলী এবং হোজাইয়ের সাইদুল আলম নামে করোনা আক্ৰান্ত রোগী তিন জনকে আটক করে। এই কাজের ফলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী।

এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্যের প্ৰয়োজনীয় সমস্ত দোকান পাট খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে অবশ্যই সরকারের বেঁধে দেওয়া প্ৰোটোকল মেনে চলতে হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সরকার কড়া ব্যবস্থা নেবে, একথা জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা প্ৰশাসন। এদিকে সোমবার থেকে চতুৰ্থ দফার লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ায় মহানগরের নুনমাটি, নারাঙ্গি সমেত বিভিন্ন বাজার এলাকায় লোকজনের ভিড় জমায়েত হতে দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছে না অনেকেই। ফলে মহানগরে করোনা আক্ৰান্তের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে গেছে।

গুয়াহাটিতে দৈনিক কাজের সূত্ৰেই হোক বা অন্য কারণে, বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষের সমাগম হয়। এতো মানুষের ভিড়ের মধ্যে কোভিড সংক্ৰমণ থাকা কোনও ব্যক্তি যদি ঢুকে পড়ে তবে তাকে খুঁজে বের করাটা খুবই কঠিন। তাছাড়া তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউনের পর গুয়াহাটিতে লকডাউনের নীতি নিয়ম যথেষ্ট শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। তারপর স্বাভাবকিভাবেই সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পৰ্যন্ত মহানগরে মানুষ চলাফেরা করেছে। তারই ফলস্বরূপ কোভিড-১৯এর সংক্ৰমণের পথ খুলে গেল। তবে একথাটিও সত্যি যে, লকডাউনের মধ্যে কোভিড-১৯ এর দোহাই দিয়ে সবকিছু বন্ধ করে রাখলেও জনজীবন স্তব্ধ হয়ে যাবে। দেশে মহামারি কোভিড-১৯এর সংক্ৰমণ ক্ৰমশ বাড়ছে। অসমেও কোভিড-১৯এর প্ৰতিরোধ এবং সংক্ৰমণের শৃংখল ভেঙে ফেলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এই কয়েকদিনে রাজ্যে একের পর এক কোভিড-১৯ রোগী ধরা পরার পর করোনার আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ ফের ঘরবন্দী হয়েছে। ১৩ মে ভিন রাজ্যে বিভিন্ন স্পৰ্শকাতর জায়গায় আটকে থাকা শ্ৰমিক এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের নিয়ে প্ৰথম যাত্ৰীবাহী ট্ৰেন অসমে প্ৰবেশ করেছে। যাত্ৰীরা গুয়াহাটি এসে পৌঁছলে তাদের প্ৰত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, প্ৰোটোকল অনুসারে তাদের আইসোলেশনে রাখা সরকারের কাছে বিরাট একটা চ্যালেঞ্জের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।





কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.