Header Ads

সন্তোষ হোজাই খুনের সিবিআই তদন্তের দাবিতে ডিএসইউ আডসু ও ডিএমএ-র ধরনা কার্যসূচী

বিপ্লব দেব, হাফলং : সন্তোষ হোজাই হত্যাকান্ডের সিবিআই তদন্তের দাবি সহ এই হত্যায় জড়িত ডিএসপি সূর্যকান্ত মরাংয়ের গ্রেফতারের দাবিতে ও মৃত সন্তোষ হোজাইর পরিবারকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এককালীন আর্থিক সাহায্য প্রদানের দাবিতে সরব হয়ে উঠল অল ডিমাসা স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ডিমাসা স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ডিমাসা মাদার্স অ্যাসোসিয়েশন। বুধবার এই দাবি গুলি নিয়ে তিনটি সংগঠন হাফলং জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে ধরনায় বসে। রক্ষকই ভক্ষক সন্তোষ হোজাইর হত্যাকান্ডের সিবিআই তদন্ত চাই সন্তোষ হোজাই হত্যাকান্ডে জড়িত ডিএসপি সূর্যকান্ত মরাংকে গ্রেফতার করে অবিলম্বে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা সন্তোষ হোজাইর খুনের ন্যায় বিচার চাই এধরনের প্লে কার্ড নিয়ে প্রতিবাদী মুখর হয়ে উঠে অল ডিমাসা স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ডিমাসা স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ও ডিমাসা মাদার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সদস্যারা। এদিন ধরনা স্থলে অল ডিমাসা স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সভাপতি উত্তম লাংথাসা ডিমাসা স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক প্রমিথ সেঙ্গইয়ং পুলিশসুপার বীরবিক্রম গগৈ এবং ডিএসপি সূর্যকান্ত মরাংয়ের বদলির সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন সন্তোষ হোজাইর স্ত্রী জয়ন্তা হোজাই এই অপহরন ও খুনের ঘটনায় ডিএসপি সূর্যকান্ত মরাং জড়িত রয়েছে বলে হারাঙ্গাজাও থানায় মামলা রুজু করার পর ও ডিএসপি মরাংকে গ্রেফতার না করে রাজ্য সরকার এই দুই পুলিশ অফিসারকে অন্যত্র বদলি করে দিয়ে এই হত্যাকান্ডকে কার্যত চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সন্তোষ হোজাই হত্যাকান্ড নিয়ে গৌহাটি হাইকোর্টের নির্দেশে এসআইটি গঠন হওয়ার পর এই খুনের ঘটনার তদন্তের তেমন অগ্রগতি হয়নি বলে অভিযোগ করে উত্তম লাংথাসা বলেন সন্তোষ হোজাই হত্যাকান্ডের সিবিআই তদন্ত চাইছি আমরা। তাছাড়া এই হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত ডিএসপিকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সন্তোষ হোজাইকে এককালীন আর্থিক সাহায্য প্রদানের দাবি জানান উত্তম লাংথাসা। অন্যদিকে প্রমিথ সেঙ্গইয়ং বলেন সন্তোষ হোজাই খুনের ন্যায় বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বুধবার থেকে তিন দিন তাদের এই ধরনা কার্যসূচি চলবে তারপর ও যদি সরকার এনিয়ে পদক্ষেপ গ্রহন না করে এবং ডিএসপি মরাংকে গ্রেফতার না করে তাহলে আগামী দিনে সন্তোষ হোজাই হত্যাকান্ডের সুবিচার চেয়ে আন্দোলন আরো তীব্রতর করে তুলা হবে বলে জানান ডিমাসা স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক প্রমিথ সেঙ্গইয়ং। উল্লেখ্য গত ২৪ এপ্রিল পাঁচ জনের দূষ্কৃতিকারীর দল বন্দুকের নলের মুখে সন্তোষ হোজাইকে অপহরন করে নিয়ে যায়।  তারপর অপহরনের সাতদিনের মাথায় সন্তোষ হোজাইর মৃতদেহ মাটির নীচে পুতে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করে লাংটিং পুলিশ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.