ত্রিপুরার গ্রামগুলিতে মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছে, রেশন কার্ড ও বন্ধক দেওয়ার অভিযোগ আসছে
বিপ্লব বৈদ্য, আগরতলা : দীর্ঘ লকডাউনের কারনে অভাব অনটন প্রকট হয়েছে ত্রিপুরার গ্রাম পাহাড়ে। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার শান্তিরবাজার মহকুমার গার্দ্ধাং পঞ্চায়েতের অশ্বিনী ত্রিপুরা পাড়ার পাঁচ উপজাতি পরিবার নিজেদের সরকারি রেশন কার্ড বন্ধক রেখেছেন অভাবের তাড়নায়। পনের থেকে কুঁড়ি হাজার টাকায় কার্ড গুলি বন্ধক রেখেছেন খোদ রেশন ডিলার অভিজিত সেন। লকডাউন চালু হওয়ার পর থেকেই বিরোধী দলগুলি গ্রাম পাহাড়ের কর্মহীন মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছেন এই অভিযোগ তুললেও সরকার তা মানেননি। কোভিড - ১৯ মোকাবিলার জন্য ত্রিপুরার ১৬ বাম বিধায়ক তাঁদের বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে ২৫ লাখ টাকা করে দিতে চেয়ে সরকারের কাছে চিঠি দেন। সরকার ১০ লাখ টাকা করে খরচ করা যাবে বলে জানান বিধায়কদের। বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে দেন পুরো টাকাটা। সঙ্গেঁ বাম বিধায়কদের তিন মাসের বেতন - ভাতার ২৫ শতাংশ করেও দিচ্ছেন ত্রান তহবিলে। সিপিএমের সাংসদ ঝর্ণা দাস বৈদ্যও সাংসদ তহবিলের এক কোটি টাকা দিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরকে। ভাতার টাকা তহবিলে দিয়েছেন সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ ও বিধায়করাও। সাহায্য করছে কেন্দ্রও। মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে প্রতিদিন দান করছেন সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ। এই দুর্যোগের সময়ে সরকারকে সবরকম সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরার ২০ বছরের মুখ্যমন্ত্রী, বর্তমান বিরোধী দলের নেতা মানিক সরকার। তবে সরকারি সাহায্য মিলছে না গরীবদের, ২৩ মাস বয়সী বিপ্লব সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে দিন দিন। এদিকে, শনিবারও ১১ জনের শরীরে মিলেছে করোনা।এর মধ্যে সাত জন বিএসএফের ৮৬ বাহিনীর হলেও অন্যরা সাধারন নাগরিক। খোদ রাজধানীর দক্ষিণ শহরতলীর এক ব্যক্তি করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবরে আতন্ক বেড়েছে আগরতলায়ও। সব মিলিয়ে ত্রিপরায় এখন অব্দি আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৬। ক্ষুধার জ্বালা আর করোনা আতংক গ্রাস করছে ১০,৪৬০ বর্গ কিলোমিটারের ছোট্ট রাজ্যটাকে।
কোন মন্তব্য নেই