Header Ads

চৈতালি বেলা শেষে...এক বাংলাদেশী মেয়ের গপ্প.. দ্বাদশ পর্ব (১২)

দেবাশীষ মুখার্জী

রাত ১১ টার সিরিয়ালটা বেশ জমে উঠেছে...মৌলি বিছানায়...সোফায় বসে সেই সিরিয়ালটা দেখছে নিলয়....

মৌলি ডাকে নিলয়কে....এবার ঘুমোতে এসো...আর কতোক্ষন এভাবে জেগে থাকবে....


নিলয়ের কোন হেলদোল নেই...সিরিয়াল আর বিজ্ঞাপন দেখছে তো দেখছে...

ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে মৌলির...
সোজা গিয়ে নিয়লয়ের হাত ধরে টান দিয়ে বলে চলো এবার...
নিলয় বলে তুমি শুয়ে পড়ে আমি একটু পরে যাচ্ছি....
মৌলি নিলয়ের এই রোজনামচার কথা জানে....
নিজেই এগিয়ে যায় নিলয়ের দিকে....কখনো নিলয়ের ঠোঁট দুটো জোরে কামড়ে দেয় তো কখনো নিলয়ের কাঁধে জোরে কামড় বসায়...নিলয়ের চুলগুলো খামছে ধরে....
নিলয়ের বুকে মুখ ঘষতে ঘষতে নিলয়ের হাতটা টেনে নিয়ে নিজের বুকের ওপর রাখে.....নিলয়ের গলার কাছে ঠোঁটটা নিয়ে গিয়ে হালকা একটা কামড় দেয়....জিবটা দিয়ে নিলয়ের কানের লতিটা নাড়াতে নাড়াতে হালকা একটা কামড় দেয় কানের লতিতে....
পাগল হয়ে যায় মৌলি নিজে...
এ যেন শিকারকে ঘায়েল করতে গিয়ে শিকারি নিজেই ঘায়েল হয়ে যাবার উপক্রম...

নিলয়ের আচরণ কিন্তু এর পর...এতো কিছুর পর...নির্লিপ্ত...নিঃস্পৃহ...
মৌলি যেন এতোক্ষন কোন মৃত মানুষকে আদর করছিলো...

বিরক্তিতে সোফা ছেড়ে এসে বিছানায় শুয়ে পড়ে মৌলি...

মৌলিকে একটা কথা শুধু ভাবায়....

বিয়ের আগে নিলয় যে এমন সেটা কেন বুঝলো না...আর বুঝতে পারলোনা সে...যৌন অক্ষম...
নারীকে তৃপ্ত করার ক্ষমতা নেই

এরপর থেকে যেটা হতে থাকে সেটা ছিলো রোজকার ঘটনা....রাতে কখন ফিরত নিলয় মৌলি জানতো না....নিলয় পালিয়ে বেড়াতো মৌলির কাছ থেকে....
মৌলি আশা ছাড়েনি....ডাক্তারের কাছে নিয়ে সমস্তকিছু টেস্ট করানো পর জেনেছিলো তার সবকিছু নর্মাল....এমনকি ডাক্তারবাবু এও বলেছিলেন...আপনি কেন একা আসছেন...আপনার স্বামীকে সাথে নিয়ে আসুন...চিকিৎসা ওনার দরকার...
হ্যাঁ একবার কাউন্সেলিং করাতে নিয়ে গিয়েছিলো নিলয়কে মৌলি...সেটাই প্রথম আর সেটাই শেষ...নিলয় বলেছিলো আমি কি পাগল নাকি যে আমাকে কাউন্সেলিং করাতে হচ্ছে....
অবাক হয়নি মৌলি...নিরস্ত করেছিলো নিজেকে এটা বলে যে...এক মাধ্যমিক পাশ ছেলের কাছে এর চেয়ে বেশী কিছু এক্সপেক্ট করা ঠিক হবে না...
কিন্তু বিয়ের আগে মৌলি তার আত্মীয়স্বজনদের বুঝিয়েছিলো...শিক্ষাগত যোগ্যতা কোন মানুষের মানসিকতার মাপকাঠি হতে পারে না....

মৌলি কথায় কথায় জানায়....নিলয়ের আদর কেমন ছিলো জানেন....

আমাদের নখের ওপর যে চামড়া গুলো ওঠে মানে যেগুলো কে শুল্কি বলে...নিলয়ের কাজ ছিলো আমার হাতটা চেপে ধরে ওগুলোকে টেনে ছিঁড়ে ফেলা...
আর আমার যন্ত্রণাক্লিষ্ট মুখটার দিকে তাকিয়ে হাসা...

জিজ্ঞেস করেছিলাম...লাগতো না...রক্ত বেরুতো না...চিৎকার করতেন না...????

না...না...না...করতাম না...কেননা আমি সম্পর্কটাকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম...

চলবে....

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.