অসম এখনও বিপদমুক্ত নয়, গুয়াহাটি মহানগরের স্বাভাবিক জনজীবনে বাধা দেওয়া হবে না, গ্রীন জোন থাকবে, তবে সতর্ক থাকতে হবে আশ্বাস হিমন্তবিশ্ব শর্মার
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : গুয়াহাটি মহানগরে কোথাও সংক্রমণ আছে, তার উৎস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অসম এখনও বিপদ
মুক্ত হতে পারেনি। আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা একথা বলেন। তিনি অভিযোগ
করেন, মানুষ সামাজিক দূরত্ব
মানছে না, মাস্ক পড়ছে না।
তারপরও বলেন, গুয়াহাটি
মহানগরের স্বভাবিক জীবনে বাধা দেওয়া হবে না। গ্রীন জোন থেকে অরেঞ্জ জোনে যাওয়ার প্রশ্ন
নেই। কেবল সংক্রমিত বা কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে বাধা নিষেধ
আরোপ করা হবে। রাজ্যে আড়াই হাজারের বেশি লোকের স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করা হয়েছে। ৫২৯
জন ডাক্তার, নার্স
স্বাস্থ্যকর্মীকে পরীক্ষা করা হয়েছে। জিএমসি-র ডাক্তার লিথিকেশের পর ডেন্টাল
কলেজের ডাক্তার দীপিকার দেহে পজিটিভ ধরা পড়েছে। মোট ৫৯ টি কেস পজিটিভ হল।
৩৪ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ডাক্তারদের লালা রসের নমুনা আজ রাতে
বিশেষ বিমানে দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ জি এম সি পরিদশনের
সময় জানান। বাইরের ১৩ রাজ্য থেকে কয়েক হাজার মানুষ এসেছে, বুম্বাই থেকে ক্যান্সার
রোগীরা এসেছেন। তাদের কারো মধ্যে সংক্রমণ থাকতে পারে বলে মন্ত্রী আশঙ্কা ব্যাক্ত
করেন। তিনি বলেন, খারগুলি পাহাড়ের মাথাতে এক ব্যক্তির দেহে
সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে সহজেই অনুমান করা যায় গুয়াহাটি মহানগরে সংক্রমণ লুকিয়ে
আছে। বিপদ এখনো কাটেনি। তিনি অভিযোগ করেন, বাইরে থেকে আসা ব্যাক্তিদের ১০ শতাংশ
সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। কয়রেন্টিনে যেতে রাজি হচ্ছে না। তিনি জানান, জি
এম সি-তে ৩৫৭ জনের পরীক্ষা হয়। মাত্র ১ জনের পজিটিভ ধরা পড়েছে। রাজ্য পুলিশ
জানিয়েছে, রাজ্যে ২৭ টি কন্টেনমেন্ট জোন আছে। লকডাউন লঙ্ঘনের ২৭২৫টি ঘটনা ঘটেছে। ৪২৯৭কে গ্রেফতার
করা হয়েছে। কাছাড়ে ১১টি, হাইলাকান্দি ও
করিমগঞ্জ জেলাতে ১ টি করে কন্টেনমেন্ট জোন আছে।
কোন মন্তব্য নেই