চৈতালি বেলাশেষে...এক বাংলাদেশী মেয়ের গপ্প.. সপ্তদশ পর্ব (১৭)
দেবাশীষ মুখার্জী
নিলয়ের সাথে মৌলির সম্পর্কটা আস্তে আস্তে আলগা হচ্ছিলো দিনের পর দিন...
সেদিন মৌলি ঘরে পড়াশোনা করছে....নিলয় অসময়ে বাড়ি এসেছিলো নিজের কিছু কাজে...মৌলিকে দেখতে পেয়েই বলে....
সানি আমার বন্ধু...কিন্তু আজকাল সানি আমার চেয়ে তোমার খবর বেশি নেয়...কি ফোনে কি দেখা হলে...
মৌলি অবাক হয়না....মনে মনে হাসে সানির ছেলেমানুষিতে....ভালোবাসলে মানুষ একটু এগ্রেসিভ হয়...কিন্তু মৌলির মনে সানিকে নিয়ে এমন কোন ধারনা কাজ করে না...
মৌলি নিলয়কে বলে...তা আমায় এজন্য কি করতে হবে শুনি....
নিলয় মৌলির সামনে এসে পা নাচাতে নাচাতে বলে...সানির সাথে কথা বলা বন্ধ করো....সম্পর্ক রেখো না...
মৌলি আত্মপক্ষ সমর্থনে কিছু একটা বলতে গেলে নিলয় হাত দেখিয়ে থামিয়ে দেয় মৌলিকে....
মৌলি চুপ করে যায়....
মৌলির সাথে সানির ফোনালাপের সম্পর্কটাতে নিজেই ইতি টানে মৌলি..সানির নাম্বার দুটো ব্লকলিস্টে ফেলে মৌলি....
মৌলি এখন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপবাসিনী...কারুর সাথে কোন সম্পর্ক নেই....এম এ র থার্ড সেমিস্টার এগিয়ে আসছে....
সেদিন এক রবিবারের বিকেল...নিলয়ের আজ দোকান বন্ধ...দুপুরে জম্পেশ করে খাসির মাংশ আর ভাত খেয়ে ঘুম থেকে উঠে চা খাচ্ছে নিলয় বারান্দায় বসে...
নিলয় আছে দেখে মৌলি চায়ের কাপ নিয়ে পাশে এসে দাঁড়ায়....
নিলয় মৌলিকে দেখে প্রথমে চুপচাপ ছিলো....মৌলি চায়ে একটা চুমুক দিতেই মুখ খোলে নিলয়...
তোমার সাথে একটা কথা ছিলো....
মৌলি বলে বলো...
নিলয় খানিকটা আদেশের সুরে বলে....তোমার পড়াশোনাটাকে আর এগিয়ে নিয়ে যাবার দরকার নেই...এটাকে এখানেই থামাও...
মৌলি থমকে যায় নিলয়ের কথা শুনে...কেউ তার পায়ের তলা থেকে সরিয়ে নিলো কিছু....হাত পা ঘামতে শুরু করেছে তখন মৌলির...
কিন্তু সেটা ক্ষনিকের জন্য....
মৌলি আঘাত পেয়ে পেয়ে কতটা কঠিন হয়ে গেছে সেটা নিলয় বুঝতে পারেনি...
নিলয়কে স্তম্ভিত করে দিয়ে মৌলি বলে....আমি এই সম্পর্কটা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছি...আই ওয়ান্ট টু কাম আউট ফ্রম দিস রিলেশন...আই ওয়ান্ট ডিভোর্স...আমি ডিভোর্স চাই....
কথাটা নিলয়কে বলে ধীর পায়ে বারান্দা থেকে হেঁটে এসে মৌলি নিজের ঘরে এসে একটা দীর্ঘস্বাস ফেলে...অনেক হালকা লাগে নিজেকে...শেষপর্যন্ত বলতে পেরেছে সে...হ্যাঁ সে পেরেছে বলতে কথাটা...
এর পর সবকিছু নর্মাল ভাবে চলে বাড়িতে...যেন কিছুই হয়নি...তবে পরিবেশটা থমথমে...
থমথমে পরিবেশ কিন্তু ঝড়ের পুর্বাভাষ....
এর মধ্যেই একদিন একদিন সানিকে ফোন করে মৌলি...সানিকে সমস্ত ঘটনাটা জানায় কেন ফোনে ব্লক করেছিলো....সানি চুপ করে শোনে....শুধু একটাই কথা বলে...নিলয় যে তোমাকে ভালোবাসতো বা বিয়ে করবে তোমাকে একথা কোনদিন বলেনি আমাকে...শুধু তাই নয় তুমি বিয়ের আগে যে মেসে থাকতে..সেখানে যে নিলয় যেতো...এটাও কোনদিন বলেনি....
সানি শুধু একটা কথা জিজ্ঞেস করে মৌলিকে...
তাহলে শেষ পর্যন্ত কি ভাবছেন রিলেশনটা নিয়ে...
মৌলি কান্নায় ভেঙে পড়ে জানায়...সে ডিভোর্স চাইছে...
সানি বলে নিলয় রাজী....
মৌলি বলে হ্যাঁ রাজী...
সানি বলে...আপনাদের মধ্যে কিন্তু একটা সন্তান এলে এই সম্পর্কটা টিকে যাবে...
মৌলি বলে...যেখানে আমার নিজের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে সেখানে যাকে আনবো তাকে কি ভবিষ্যৎ দেবো....
সানি চুপ করে যায়...
মৌলি ফোনটা কেটে দেয়....
চলবে....
নিলয়ের সাথে মৌলির সম্পর্কটা আস্তে আস্তে আলগা হচ্ছিলো দিনের পর দিন...
সেদিন মৌলি ঘরে পড়াশোনা করছে....নিলয় অসময়ে বাড়ি এসেছিলো নিজের কিছু কাজে...মৌলিকে দেখতে পেয়েই বলে....
সানি আমার বন্ধু...কিন্তু আজকাল সানি আমার চেয়ে তোমার খবর বেশি নেয়...কি ফোনে কি দেখা হলে...
মৌলি অবাক হয়না....মনে মনে হাসে সানির ছেলেমানুষিতে....ভালোবাসলে মানুষ একটু এগ্রেসিভ হয়...কিন্তু মৌলির মনে সানিকে নিয়ে এমন কোন ধারনা কাজ করে না...
মৌলি নিলয়কে বলে...তা আমায় এজন্য কি করতে হবে শুনি....
নিলয় মৌলির সামনে এসে পা নাচাতে নাচাতে বলে...সানির সাথে কথা বলা বন্ধ করো....সম্পর্ক রেখো না...
মৌলি আত্মপক্ষ সমর্থনে কিছু একটা বলতে গেলে নিলয় হাত দেখিয়ে থামিয়ে দেয় মৌলিকে....
মৌলি চুপ করে যায়....
মৌলির সাথে সানির ফোনালাপের সম্পর্কটাতে নিজেই ইতি টানে মৌলি..সানির নাম্বার দুটো ব্লকলিস্টে ফেলে মৌলি....
মৌলি এখন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপবাসিনী...কারুর সাথে কোন সম্পর্ক নেই....এম এ র থার্ড সেমিস্টার এগিয়ে আসছে....
সেদিন এক রবিবারের বিকেল...নিলয়ের আজ দোকান বন্ধ...দুপুরে জম্পেশ করে খাসির মাংশ আর ভাত খেয়ে ঘুম থেকে উঠে চা খাচ্ছে নিলয় বারান্দায় বসে...
নিলয় আছে দেখে মৌলি চায়ের কাপ নিয়ে পাশে এসে দাঁড়ায়....
নিলয় মৌলিকে দেখে প্রথমে চুপচাপ ছিলো....মৌলি চায়ে একটা চুমুক দিতেই মুখ খোলে নিলয়...
তোমার সাথে একটা কথা ছিলো....
মৌলি বলে বলো...
নিলয় খানিকটা আদেশের সুরে বলে....তোমার পড়াশোনাটাকে আর এগিয়ে নিয়ে যাবার দরকার নেই...এটাকে এখানেই থামাও...
মৌলি থমকে যায় নিলয়ের কথা শুনে...কেউ তার পায়ের তলা থেকে সরিয়ে নিলো কিছু....হাত পা ঘামতে শুরু করেছে তখন মৌলির...
কিন্তু সেটা ক্ষনিকের জন্য....
মৌলি আঘাত পেয়ে পেয়ে কতটা কঠিন হয়ে গেছে সেটা নিলয় বুঝতে পারেনি...
নিলয়কে স্তম্ভিত করে দিয়ে মৌলি বলে....আমি এই সম্পর্কটা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছি...আই ওয়ান্ট টু কাম আউট ফ্রম দিস রিলেশন...আই ওয়ান্ট ডিভোর্স...আমি ডিভোর্স চাই....
কথাটা নিলয়কে বলে ধীর পায়ে বারান্দা থেকে হেঁটে এসে মৌলি নিজের ঘরে এসে একটা দীর্ঘস্বাস ফেলে...অনেক হালকা লাগে নিজেকে...শেষপর্যন্ত বলতে পেরেছে সে...হ্যাঁ সে পেরেছে বলতে কথাটা...
এর পর সবকিছু নর্মাল ভাবে চলে বাড়িতে...যেন কিছুই হয়নি...তবে পরিবেশটা থমথমে...
থমথমে পরিবেশ কিন্তু ঝড়ের পুর্বাভাষ....
এর মধ্যেই একদিন একদিন সানিকে ফোন করে মৌলি...সানিকে সমস্ত ঘটনাটা জানায় কেন ফোনে ব্লক করেছিলো....সানি চুপ করে শোনে....শুধু একটাই কথা বলে...নিলয় যে তোমাকে ভালোবাসতো বা বিয়ে করবে তোমাকে একথা কোনদিন বলেনি আমাকে...শুধু তাই নয় তুমি বিয়ের আগে যে মেসে থাকতে..সেখানে যে নিলয় যেতো...এটাও কোনদিন বলেনি....
সানি শুধু একটা কথা জিজ্ঞেস করে মৌলিকে...
তাহলে শেষ পর্যন্ত কি ভাবছেন রিলেশনটা নিয়ে...
মৌলি কান্নায় ভেঙে পড়ে জানায়...সে ডিভোর্স চাইছে...
সানি বলে নিলয় রাজী....
মৌলি বলে হ্যাঁ রাজী...
সানি বলে...আপনাদের মধ্যে কিন্তু একটা সন্তান এলে এই সম্পর্কটা টিকে যাবে...
মৌলি বলে...যেখানে আমার নিজের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে সেখানে যাকে আনবো তাকে কি ভবিষ্যৎ দেবো....
সানি চুপ করে যায়...
মৌলি ফোনটা কেটে দেয়....
চলবে....
কোন মন্তব্য নেই