Header Ads

সন্তোষ হোজাই হত্যাকান্ডের দণ্ডাধীশ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ জেলাশাসক অমিতাভ রাজখোয়ার

  বিপ্লব দেব, হাফলংঃ ঠিকাদার সন্তোষ হোজাইর খুনের ঘটনার দণ্ডাধীশ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিলেন ডিমা হাসাও জেলা ন্যায় দন্ডাধীশ তথা জেলাশাসক অমিতাভ রাজখোয়া। অতিরিক্ত জেলাশাসক দিপক জিডুংকে এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই ঘটনার তদন্ত সম্পূর্ণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক অমিতাভ রাজখোয়া।  তাছাড়া সন্তোষ হোজাইর অপহরন এবং খুনের ঘটনার পুলিশি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশসুপার মানবেন্দ্র গগৈকে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ অসম প্রান্তের ডিআইজি দিলীপ কুমার দে।

ইতিমধ্যে ঠিকাদার সন্তোষ হোজাইর অপহরন ও খুনের ঘটনার সঙ্গে পুলিশের ডিএসপি সূর্যকান্ত মরানের নাম জড়িয়ে পড়েছে। এমনকি গুয়াহাটি হাইকোর্টে ডিএসপি সূর্যকান্ত মরানকে এই অপহরন ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত করে সন্তোষ হোজাইর স্ত্রী জয়ন্তা হোজাই মামলা রুজু করেছেন। কারন সন্তোষ হোজাইর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুসারে তাকে ডিজেল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। আর সেই সুত্র ধরেই এই খুনের ঘটনায় ডিএসপির নাম জড়িয়ে পড়েছে কারন গত ২৪ এপ্রিল সন্তোষ হোজাইকে অপহরনের পর হারাঙ্গাজাও থানার ওসি সন্তোষ হোজাইর স্ত্রীকে জানিয়েছিল লকডাউনের মধ্যে কে অপহরনের সাহস দেখাবে সন্তোষ হোজাই সরকারি এজেন্সির কাছেই রয়েছে তাই চিন্তার কোনও কারন নেই এমন মন্তব্য জয়ন্তা হোজাইর। আর অপহরনের ঠিক পর দিন ২৫ এপ্রিল মাইবাং পেট্রল পাম্প থেকে বিকেল তিনটে নাগাদ একটি সাদা রংয়ের স্কোরপিও গাড়ী নিয়ে এসে ডিএসপি সূর্যকান্ত মরান জারিক্যানে ১৫ লিটার ডিজেল কিনে নিয়ে যায়। কারন এদিন ডিএসপি গাড়ীতে তেল না ভরে কেন ডিজেল ১৫ লিটার জারিক্যানে নিয়ে গেলেন তা এখন তদন্তের বিষয় তাছাড়া সন্তোষ হোজাইকে  ডিজেল ঢেলে খুন করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে। তাই এই ঘটনার পিছনে ডিএসপির জড়িত থাকার বিষয়টি সন্দেহ করা হচ্ছে।  উল্লেখ্য গত ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় সন্তোষ হোজাইর অপহরন হওয়ার সাত দিনের মাথায় অবশেষে গত ৩০ এপ্রিল লাংটিং থানার অন্তর্গত মুপা রিজার্ভ ফরেষ্টের কাছে লাইলিংয়ের জঙ্গলে সন্তোষ হোজাইর মৃতদেহ মাটির নীচে পুতে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.