Header Ads

কাল ৪ মে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পযর্ন্ত ১২ ঘন্টার সর্বাত্মক কারফিউ, লকডাউন মেনে চলার আহবান মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর



অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : কাল ৪ মে থেকে লকডাউনের তৃতীয় পর্যায় শুরু হচ্ছে। চলবে ১৭ মে পর্যন্ত। অসমে ৩৩টি জেলার মধ্যে একটিও রেড জোনে পড়েনি। মারিগাঁও, নলবাড়ী, ধুবড়ি এবং বঙ্গগাইগাও এই চারটি জেলা অরেঞ্জ জোনে অর্ন্তভুক্ত হয়েছে। বাকি ২৯টি গ্রীন জোনে পড়েছে। সমগ্র অসম অর্থাৎ ৩৩টি জেলাতে আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর 6টা পর্যন্ত রাতে সর্বাত্মক কারফিউ জারি করা হবে। ১২ ঘন্টার এই কারফিউর মধ্যে সংবাদমাধ্যম, দমকল, এম্বুলেন্স, জরুরি দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি অফিসার ছাড়া অন্য যেকোনও ব্যাক্তি আইন ভঙ্গ করে পথে নামলে পুলিশের শাস্তির মুখে পড়তে হবে। আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা একথা বলেন। তিনি জানান, মুদির দোকান, ঔষধের দোকান, বইয়ের দোকান, রেস্টুরেন্ট, চা-এর দোকান খোলা থাকবে। রেস্টুরেন্টে কেও বসে খেতে পারবেন না। সঙ্গে খাবার নিয়ে বাড়ি যেতে হবে। তবে অরেঞ্জ জোনে শুধু মুদির দোকান আর ঔষধের দোকান খোলা থাকবে। গ্রীন জোনে সরকারি, বেসরকারি অফিস খুলবে। ৩৩ শতাংশের বদলে ৫০ শতাংশ কর্মীকে দিয়ে কাজ চালানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সরকারি বাস চলবে, বেসরকারি বাসকে এএসটিসি-র অধীনে চালাতে হবে ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী তুলতে পারবে না। উবের, ওলা, ট্যাক্সি দুজনের বেশি যাত্রী তুলতে পারবে না। বাইক, স্কুটারে এক জনের বেশি চড়তে পারবে না। তবে ১২ বছরের নীচের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে কোন মহিলা চড়ে তবে তার অনুমতি আছে। রিকশা, অটোতে ২ জনের বেশি চড়তে পারবে না। শহরে গ্রামে নির্মাণ কাজে ৫০ শতাংশের বেশি শ্রমিক নিয়োগ করতে পারবে না। আন্তঃজেলায় বাস চলবে, তবে অরেঞ্জ জোনে দাঁড়াতে পারবে না। গ্রিন জোনে এক তৃতীয়াংশ দোকান খুলবে প্রতিদিন। তবে মুদির দোকান, ঔষধের দোকান, বইখাতার দোকান প্রতিদিন খুলতে বাধা নেই। যথারীতি স্কুল, কলেজ, সিনেমা হল, সুইমিং পুল, জিম, শপিং মল, বার, স্পোর্টস কম প্লেক্স জমায়েত বন্ধ থাকবে। ২ মিটার ব্যাবধান রক্ষা করা, থুতু ফেলা, ৫ জনের বেশি জমায়েত হলে পুলিশ এপিডমিক আইন ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইন অনুযায়ী ২ মাস  থেকে ২ বছর পর্যন্ত জরিমানা সহ কড়া শাস্তি দিবে বলে ডিজিপি ভাস্করজ্যোতি মহন্ত আজ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানান, বাইরের রাজ্য থেকে ৩৭৬০ জন আজ ফিরেছে। শ্রীরামপুর সীমান্ত দিয়ে ১৩০১ জন ও শ্রীরামপুর সীমান্তে ৭৭৮ জন ফিরেছে। তাদের কয়রেন্টিনে রাখা হয়েছে। মেঘালয় থেকে ৯০০ জন, অরুণাচল থেকে ১০০০ জন, ত্রিপুরা থেকে ৩১২ জন, মিজোরাম থেকে ৫০ জন, নাগাল্যান্ড থেকে ১৫ জন ফিরেছে। তিনি জানান, বাইরের রাজ্য থেকে ১ লক্ষের বেশি মিস কল এসেছে। তিনি জানান, বিমান, ট্রেন, বাস ছাড়াও জল পরিবহনও বন্ধ থাকবে। তবে মাজুলির জন্য বিশেষ ফেরি চালানোর বাবস্থা থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল আজ রাজ্যের মানুষের কাছে আবেদন করে বলেছেন, অসম এখনও করোনা মুক্ত হয়নি। লকডাউনের সব নিয়ম-নীতি মেনে চলুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.