পরিযায়ী শ্ৰমিকদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া চলবে না, নিৰ্দেশ সুপ্ৰিম কোৰ্টের
নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্ক, ২৮ মেঃ মহামারি করোনা ঠেকাতে সারা দেশে গত দু মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে একটানা লকডাউন। ফলে দেশে হাজার হাজার শ্ৰমিক রোজগার হারিয়েছে। উপায়হীন হয়ে পায়ে হেঁটে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে আসার পথে প্ৰাণ হারিয়েছে বহু শ্ৰমিক। সেই প্ৰেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার শ্ৰমিকদের দুৰ্দশা মোচনে সুপ্ৰিম কোৰ্টে স্বতঃপ্ৰণোদিত হয়ে বিষয়টির শুনানি হয়। শুনানির পর শীৰ্ষ আদালত জানিয়েছে- এবার থেকে পরিযায়ী শ্ৰমিকদের রাজ্যে ফেরানোর সব দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারগুলিকে। শ্ৰমিকদের কাছ থেকে ট্ৰেনের ভাড়া নেওয়া যাবে না। এই সংকট সংক্ৰান্ত সুয়ো মটু মামলায় কেন্দ্ৰ ও রাজ্যদের পাঁচ দফা নিৰ্দেশ দিয়েছে শীৰ্ষ আদালত।
ছবি, সৌঃ ইন্টারনেট
এদিন বিচারপতি অশোক ভূষণ, এসকে কৌল ও এমআর শাহের বেঞ্চ দীর্ঘক্ষণ শুনানির পর পাঁচটি নির্দেশ দেয়। সরকার পক্ষের হয়ে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা কেন্দ্র কী কী করেছে তা জানান। একই সঙ্গে তিনি বলেন যে কিছু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে তুলে ধরা হচ্ছে। শীৰ্ষ আদালতের মতে শ্ৰমিকদের জন্য কেন্দ্ৰ ও রাজ্য যা করছে তার মধ্যেও খামতি থেকে যাচ্ছে।
সুপ্ৰিম কোৰ্ট যা যা নিৰ্দেশিকা দিয়েছে সেগুলি হল- পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে বাস বা ট্রেন ভাড়া নেওয়া যাবে না। যারা বাড়ি ফিরছেন না, তাদের জন্য রাজ্য সরকারকে খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। কোথা থেকে খাবার মিলবে, তা আগে থেকে জানিয়ে দিতে হবে।
যে রাজ্য থেকে শ্রমিকরা ট্রেনে উঠছে, খাবার ও জলের জোগান দিতে হবে তাদের। ট্রেনে খাবার দেওয়ার দায় ট্রেনে। এরপর যে রাজ্যে শ্রমিকরা গেলেন, তাদের খাবার, জল ও স্টেশন থেকে বাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে সেখানকার প্রশাসনকে। বাসে করে যারা ফিরছেন বা ক্যাম্প যারা আছেন, তাদের জন্যেও এটি প্রযোজ্য।
দ্রুত পরিযায়ী শ্রমিকদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যেখানে তারা আটকে পড়েছেন, সেখানে হেল্প ডেস্ক বসিয়ে নাম রেজিস্ট্ৰেশন করতে হবে যাতে যারা ফিরতে ইচ্ছুক, দ্রুত তাদের বাস বা ট্রেনে করে ফিরতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই