Header Ads

লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব আমান্য করে হাফলং বাজারে উপচে পড়া মানুষের ভিড়

 বিপ্লব দেব, হাফলং ১৭ মেঃ রাজ্যে কভিড ১৯ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি মহুর্তে বেড়েই চলছে। রাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৯৬ জনে দাঁড়িয়েছে যা নিয়ে রাজ্যে মানুষের মধ্যে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এমনকি উত্তর পূর্বাঞ্চলের মনিপুরে নতুন করে ৭ জনের শরীরে ধরা পড়েছে কোভিড ১৯ রোগের সংক্রমণ। ইতিমধ্যে অসমের ২৯ টি জেলাকে গ্রীন জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।

  তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউনে এই সব জেলা গুলিতে লকডাউন কিছুটা শিথিল করে দেওয়া হয়েছিল। ওই ২৯ টি জেলার মধ্যে অসমের অন্যতম পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাও গ্রীন জোনের মধ্যে পড়েছে। ডিমা হাসাও জেলা গ্রীন জোন হওয়ার সুবাদে পাহাড়ে ব্যাপক ভাবে লকডাউন অমান্য করছে সাধারণ মানুষ। নৈশ কার্ফু আমান্য করে বিনা কাজে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন একাংশ লোক। এমনকি লকডাউন অমান্য করে বাজার হাটে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বাজার হাট সহ হাফলং শহরের দোকান পাট খোলা হচ্ছে। 

ডিমা হাসাও জেলায় সাপ্তাহিক হাট বার বন্ধ থাকার নির্দেশ দেওয়া হলেও সাপ্তাহিক হাটে ভিড় জমাচ্ছেন প্রচুর লোক। এ ক্ষেত্রে যেমন ডিমা হাসাও জেলাপ্রশাসন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না ঠিক পুলিশকে ও এনিয়ে কোনও ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। তাছাড়া হাফলং মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে সরকারি নীতি নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। লকডাউন অমান্য করে হাফলং শহরে এভাবে সব দোকান পাট খুলে যাওয়ার দরুন সমস্যা বাড়ছে হাফলং শহরের জন্য এমনই অভিযোগ সচেতন মহলের। তার উপর বহিঃরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিক ও অনান্য মানুষ নিজের গৃহ জেলায় ফিরে আসার পর স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এদের ২৮ দিনের হোম কোয়ারিন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়ার পর ও অনেকে স্বাস্থ্য বিভাগের এসব নির্দেশ অমান্য করে বাইরে বেড়িয়ে আসছেন বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। আর এতেই বাড়ছে বিপদের মাত্রা এমনটাই মনে করছেন শহরের সচেতন মহল। কারণ এতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে তাই জেলাপ্রশাসন যদি চতুর্থ দফার লকডাউনের সময় কঠোর স্থিতি গ্রহণ না করে তাহলে সমস্যা যে বাড়বে তা এক প্রকার নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের সদস্য লিটন চক্রবর্তী। সাধারণ মানুষ কোনও ভাবেই লকডাউন মানছে না তাই জেলাপ্রশাসনকে এনিয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন লিটন চক্রবর্তী। এদিকে গত তিন দিনে বহিঃরাজ্য থেকে ফিরে আসা লোকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর এদের হাফলং শিক্ষা ভবনের সরকারি কোয়ারিন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। তাছাড়া বহিঃরাজ্য থেকে ফিরে আসা ৪০ জনকে হাফলং শহরের একটি হোটেলে কোয়ারিন্টাইন করা হয়েছে। এদিকে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে কোভিড ১৯ ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লকডাউন কঠোর ভাবে পালন করার জন্য মানুষের মধ্যে সজাগতা অভিযান চালানোর পর ও হাফলং শহরের মানুষের মধ্যে কভিড ১৯ রোগ নিয়ে এখনও সচেতনতার অভাব রয়েছে।   

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.