Header Ads

করোনার জেরে স্বগিত ভোট, ত্রিপুরার এডিসিতে বসছে প্রশাসক



বিপ্লব বৈদ্য, আগরতলা : করোনা সংক্রমণের জেরে সময়মত ভোট না হওয়ায় রাজ্যপালের হাতে যাচ্ছে ত্রিপুরার এডিসি প্রশাপসনের দায়িত্ব। রবিবার মেয়াদ শেষ হচ্ছে বাম এডিসি প্রশাসনের। এডিসিতে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার। ১৯৭৮ সালে ত্রিপুরায় নৃপেন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে প্রথম বাম সরকার গঠিত হওয়ার পর ১৯৭৯ সালেই পিছিয়ে পড়া উপজাতিদের স্বার্থে ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এডিসি ঠেকাতে ১৯৮০ সালের জুন মাসে জাতি-উপজাতির দাঙ্গাও হয় ত্রিপুরায়। কিছুদিন পিছিয়ে ১৯৮২ সালে ত্রিপুরার ৬৮ শতাংশ ভৌগোলিক এলাকা নিয়ে গঠিত হয় এডিসি। ১৯৮৪ সালে সংবিধানের ৪৯তম সংশোধনীমূলে ১৯৮৫ সালে সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিলের মর্যাদা পায় এডিসি। ২০১৫ সালের নির্বাচনে এডিসির ২৮টি আসনেই জয়ী হয় বামেরা। এই সময়ে সীমিত আর্থিক ক্ষমতার মধ্যেও উপজাতিদের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশে সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন এডিসির মুখ্য কার্য-নির্বাহী সদস্য রাধাচরন দেববর্মা। মাঝখানের দশ বছর বাদ দিলে পুরো সময়টাই এডিসির ক্ষমতা ছিল বামপন্থীদের হাতেই। আগরতলা থেকে ২৬ কিমি দূরের খুমলুঙে এডিসির সদর দপ্তর ঘিরে তৈরী হয়েছে উপ-নগরী। ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বর্তমান এডিসি এলাকাকে নিয়েই নতুন রাজ্য-'ত্রিপ্রাল্যান্ড'-র শ্লোগান তুলে বিধানসভায় আটটি উপজাতি সংরক্ষিত আসন পায় উপজাতি ভিত্তিক রাজনৈতিক দল আইপিএফটি। বিজেপির সঙ্গে জোট করে সরকারে গেলেও তিপ্রাল্যান্ড ইস্যুতে এখন চুপ আইপিএফটি-র সঙ্গে এডিসি নিয়ে শরিকী সংঘাত অনিবার্য বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। করোনার কারনে অনিদিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে গেছে নির্বাচন। তবে প্রশাসক নিয়োগ করে এডিসি প্রশাসন চালানো নিয়েও শরিকী সংঘাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকেই। সোমবার থেকে পাহাড়ে অভাব অনটন সমেত উপজাতিদের সার্বিক উন্নতির দায়িত্ব বিপ্লব দেব সরকারের কাঁধে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.