Header Ads

মোদীর বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের বিস্তারিত বিবরণ দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
সীতারমন শুরুতেই বলেন, অর্থনীতির বৃদ্ধিকে তরান্বিত করতে ও আত্মনির্ভর ভারত গড়তে এই প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। ফোকাস অবশ্যই থাকবে ল্যান্ড, লেবার, লিকুউডিটি ইত্যাদিতে। এবং লোকাল ব্যান্ডকে গ্লোবাল করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগোব। তবে আত্মনির্ভর ভারত মানে আমরা গোটা বিশ্ব থেকে নিজেদের স্বনির্ভর করতে গিয়ে বিচ্ছিন্ন করে নেব না। এই কথাই প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন।

লকডাউনের মাঝে ডিবিটি বা ডিরেক্ট ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার অনেকের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে। জনধন, আধার, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মানুষকে সাহায্য করেছে। লকডাউনের মাঝে স্বচ্ছ ভারত যোজনা, জনধন, উজ্জ্বলা যোজনার সুবিধা মানুষ পেয়েছে।
সবার প্রথমে গরিবের কথা ভেবে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ আনা হয়েছিল। পরে আরবিআইয়ের ঘোষণায় দেশের অনেকটা সুবিধা হয়েছে। বড় সিদ্ধান্ত নিতে ভারত সরকার পিছিয়ে থাকেনি গত ছয় বছরে। আর সেই আত্মবিশ্বাসই ভারতকে আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে দেবে।
প্রধানমন্ত্রীর তরফে প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীদের ৫০ লক্ষ টাকা বীমা দেওয়া হয়। গরিবদের অতিরিক্ত ৫ কেজি মাথাপিছু চাল ও ১ কেজি ডাল দেওয়া হয়। জনধনে টাকা দেওয়া, উজ্জ্বলা যোজনায় সিলিন্ডার বিনামূল্যে দেওয়া, কৃষকদের অগ্রিম অর্থের যোগান দেওয়া হয়েছে। মধ্যবিত্তদের ঋণকে তিনমাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে সুবিধা হয়। এই সবই প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি মতো পূরণ করেছেন।
তিন লক্ষ কোটি টাকা কুটীর, মধ্যম শিল্পের ক্ষেত্রে সাহায্য করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনও গ্যারান্টির প্রয়োজন হবে না। বিপদের মধ্যে থাকা এমএসএমই-র জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার অর্থসাহায্য করা হবে।
লাভজনক অবস্থায় থাকা এমএসএমই-র জন্য ফান্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ৫০ হাজার কোটি টাকার ইকুইটি ইনফিউশন হবে। ক্ষুদ্র শিল্পকে ৩ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হবে। কোনও বন্ধক ছাড়াই ঋণ দেওয়া হবে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যাবে। ৪৫ লক্ষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এই প্রকল্পে উপকৃত হবে।
১৮ হাজার কোটির আয়কর রিফান্ড করা হয়েছে। ১৪ লক্ষ করদাতাকে রিফান্ড করা হয়েছে। ১ কোটির বিনিয়োগ ও ৫ কোটির ব্যবসা করা এমএসএমইকে মাইক্রো, ১০ কোটির বিনিয়োগ ও ৫০ কোটির ব্যবসা করাকে মধ্যম ও ২০ কোটির বিনিয়োগ ১০০ কোটি পর্যন্ত টার্নওভারের সংস্থাকে পুরনো ব্র্যাকেটেই রাখা হচ্ছে। তবে সংস্থাকে বড় করে তোলার চেষ্টা হয়েছে।
সরকারি কাজে ২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত গ্লোবাল টেন্ডারের অনুমতি দেওয়া হবে না। এবং এর মাধ্যমে মেক ইন ইন্ডিয়াকে উতসাহ দেওয়া হবে। ইপিএফের ক্ষেত্রে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ের নাগরিককে তিন মাসের সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। যা সরকার মার্চ থেকে মে পর্যন্ত দেবে বলেছিল কর্মী ও সংস্থা দুই ক্ষেত্রেই। সেটা আরও তিনমাস বাড়িয়ে দেওয়া হল। এর ফলে ৭২.২২ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে।
স্ট্যাটুটারি পিএফের ক্ষেত্রে ১৫ হাজারের ওপরের বেতনের যারা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ১২ শতাংশের জায়গায় ১০ শতাংশ সংস্থাকে দিতে হবে। এর ফলে সংস্থার হাতে টাকা কিছুটা থাকবে। আগামী তিনমাসের জন্য এই নিয়ম বরাদ্দ হবে।
এনবিএফসি, হাউসিং ফিনান্সের মতো সংস্থাগুলিকে ৩০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ সরকার আনছে। ডিসকমগুলিকে ৯০ হাজার কোটি টাকার অর্থসাহায্য করা হবে। এটা এককালীন সাহায্য হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.