বিজনীর অমর শহীদ স্মরণে আমসু ও সচেতন নাগরিকরা
সঞ্জয় সাহা,
টংলা : বিদেশীদের অপবাদে ভারতীয়দের হেনস্থা করার প্রতিবাদে ১৯৮০ সালের ২৬ মে সারা অসমে 'দাবি দিবস' হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আমসু (সারা অসম সংখ্যালঘু ছাত্র পরিষদ) ও অসমের বাংলাভাষী জনসাধারণ। সেদিন সারা অসমের সাথে বিজনীতেও 'দাবি দিবস' পালন করার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়েছিল হাজার হাজার লোক। স্থান ছিল বিজনী বিদ্যাপীঠ উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে খালি ময়দান। ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে সমমর্যাদার দাবিতে ছিল এই জমায়েত। প্রায় পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি লোক সমবেত হয়েছিল সেদিন আন্দোলন সমাবেশে। 'দাবি দিবস' হিসেবে আন্দোলনের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল সকলে মিছিল করে প্রশাসনের কর্তৃপক্ষকে এক দাবিপত্র তুলে দেওয়া। মিছিল বিজনীস্থিত দেউকুড়াপার হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ভিতিগ্ৰস্ত অসম পুলিশ বাহিনী মাঝ রাস্তায় মিছিল সমবেত লোকদের উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করতে শুরু করে বলে তখনকার গুরুতর অভিযোগ স্থানীয় জনগণের। তৎক্ষণাৎ রাস্তায় ঢলে পরে অসম পুলিশের বেয়নেটের গুলিতে তরতাজা রক্তাক্ত ১১টি দেহ। সঙ্গে সঙ্গে প্রান চলে যায় - ১) অনিল নমঃদাস, ২) গোপাল সাহা,
৩) নির্মল সরকার, ৪) আলাউদ্দিন শেখ, ৫) বিশ্বজিৎ কুন্ডু, ৬) মনিরুদ্দিন শেখ, ৭) রমেন সরকার, ৮) শ্রীমন্ত বর্মন, ৯) সুবল বারৈ, ১০) হরিপদ বর্মন, ১১) সুনীল চন্দ্র মন্ডল। এরপর থেকে প্রতি বছর আমসু ও বিজনী সচেতন নাগরিকদের সহায়তায় শহিদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। ২৬ মে দিনটি ভাষার সম্মানে প্রাণ বলিদানকারীদের স্মরণে 'শহিদ দিবস'
হিসেবে পালন করা হয় ।
কোন মন্তব্য নেই