শূকরের শরীরে অজানা রোগ, উজান অসমের ৬ জেলায় শূকরের মাংস বিক্ৰিতে নিষেধাজ্ঞা রাজ্য সরকারের
নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্ক, গুয়াহাটিঃ বিশ্ব তথা দেশজুড়ে মহামারি কোভিড-১৯ সংক্ৰমণের মধ্যেই অসমে অজানা রোগে আক্ৰান্ত হয়ে বহু শূকরের মৃত্যু হয়েছে। ফলে রাজ্যবাসীর কপালে চিন্তার ভাজ আরও এক ধাপ বেড়ে গেছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ৬টি জেলা ক্ৰমে ধেমাজি, ডিব্ৰুগড়, শিবসাগর, লখিমপুর, বিশ্বনাথ এবং যোরহাটে শূকরের মাংস বিক্ৰিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এই মৰ্মে রাজ্যে পশু পালন বিভাগের তরফ থেকে এক নোটিশে এই কথা জানানো হয়েছে।
ছবি, সৌঃ ইন্টারনেট
রাজ্যে এখনও পৰ্যন্ত ‘সোয়াইন ফেবার’ এ আক্ৰান্ত হয়ে প্ৰায় ২০০০ শূকরের মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি তথ্য মতে এই সংখ্যাটি আরও বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু শিবসাগর জেলাতেই ১১২৮ টি শূকরের অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দুৰ্নীতি বিরোধী যুবশক্তি অসম নামের একটি সংগঠন সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের ৬ জেলায় শূকরের মাংস বিক্ৰিতে নিষেধাজ্ঞার জন্য রাজ্য সরকারের তীব্ৰ সমালোচনা করেছে। সংগঠনটির সভাপতি ধৰ্মকান্ত গগৈয়ের কথায়- উজান অসমে লক্ষ লক্ষ শূকর পালন করেই বেকার যুবকরা স্বাবলম্বী হয়ে আছেন। তাদের পেটে ভাতে না মেরে শূকরদের রোগ নিরাময়ের উপায় খুঁজে বের করা হোক। খুব শীঘ্ৰই বাজারে শূকরের দানা খাদ্য সহজলভ্য করা হোক। শূকর পালকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলেছেন সংগঠনটির সভাপতি।
প্ৰসঙ্গত, শূকরদের বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচাতে ২২টি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারপরও অজানা রোগে আক্ৰান্ত হয়ে রাজ্যে হাজার হাজার শূকরের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সেখান থেকে শূকরদের নমুনা সংগ্ৰহ করে ভোপালের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল দেখে পরবৰ্তী ব্যবস্থা গ্ৰহণ করবে রাজ্য সরকার।
কোন মন্তব্য নেই