Header Ads

অবশেষে কিম নিয়ে মুখ খুললো দক্ষিণ কোরিয়া !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বেঁচে আছেন এবং সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। সম্প্রতি কিম জং উনের মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন ওঠে। এতদিন কোনো পক্ষ থেকেই এ বিষয়ে কিছু পরিষ্কার করা হয়নি। তবে গতকাল প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে বক্তব্য পাওয়া গেল। খবর সিএনএনের
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মুন চাং ইন বলেন, আমাদের সরকারের অবস্থান খুবই শক্তিশালী।

কিম জং উন বেঁচে আছেন এবং সুস্থ আছেন। তিনি গত ১৩ এপ্রিল থেকে উনসান শহরে অবস্থান করছেন। কোনো সন্দেহজনক চলাফেরার কথা জানা যায়নি। গত ১৫ এপ্রিল ঠাকুর্দার জন্মদিনে উপস্থিত না হওয়ায় তাকে নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়। শনিবার তার মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন ওঠে। এর চারদিন আগে তাকে পলিটব্যুরোর বৈঠকেও দেখা যায়।
সম্প্রতি মার্কিন গোয়েন্দা সূত্র জানায় যে, অপারেশনের পর কিমের শারীরিক অবস্থা খুবই গুরুতর। গতকালও এক মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, কিমের শারীরিক অবস্থা যে খারাপ সেটা সত্যি। কিন্তু এ বিষয়টি আরো যাচাই-বাছাই করতে হবে। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লিন্ডসে গ্রাহাম দাবি করেন, কিম জং উন হয় মারা গেছেন না হয় অচেতন হয়ে আছেন। লন্ডনের ট্যাবলয়েড পত্রিকা দ্য সান এর অনলাইন সংস্করণে এই তথ্য জানানো হয়।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিশেষ ট্রেনটিকে চলতি সপ্তাহের দুই দিনে রিসোর্ট শহর উনসানের বিশেষ একটি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। উপগ্রহের ছবিতে তা ধরা পড়েছে বলে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়ার উপর নজর রাখে ওয়াশিংটনের এমনটি সংগঠন ‘থার্টিএইট নর্থ’।
এদিকে নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিম জং উন-এর পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি উচ্চতার শরীরের ওজন তিনশ পাউন্ডের বেশি। অত্যধিক পরিমাণে ধূমপান করেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের অনেকেরই হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ৩৬ বছর বয়সী কিম জং
উন-এর দিনে অন্তত চার প্যাকেট সিগারেট লাগে। এর বাইরে অস্বাস্থ্যকর বিভিন্ন ধরনের খাবার এবং ওয়াইন তার প্রিয়। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে ছয় বছর আগে জানানো হয়েছিল, কিম জং উনের মদ্যপানের জন্য বছরে খরচ হয় ৩০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ! শারীরিক গঠন কিছুটা ঠিক রাখার জন্য এর আগে তিনি সার্জারি করেছেন বলেও মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
২০১১ সালে কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার আসনে বসার আগে তার বাবা কিম জং ইল ৭০ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। তার আগে কিম জং উনের দাদু কিম ইল সাং ১৯৯৪ সালে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। কিম জং ইল ধূমপায়ী ছিলেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। বিভিন্ন ধরনের মদ সংগ্রহ করে তিনি পান করতেন। ভোজন রসিক হিসেবেও তিনি পরিচিত ছিলেন।
২০০৭ সালে কিম জং ইল মারা যাওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় তিনি ছোট চুল নিয়ে জনসম্মুখে হাজির হন। তখন নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়, তিনি হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। বড় ধরনের কোনো সার্জারি হয়েছিল। এরপর ২০০৮ সালে কিম জং ইল স্ট্রোক করেন। চীন এবং ফ্রান্সের চিকিৎসকরা ওই সময় তার চিকিৎসা করেছেন বলে দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমে দাবি করা হয়। তিন বছর পর তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। তবে, গুঞ্জন রয়েছে-- তিনি তাঁর অফিসিয়াল মৃত্যু ঘোষণার অনেক আগেই মারা গেছেন !

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.