কলকাতায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীর করোনায় মৃত্যু !!
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
করোনায় দেশজুড়ে প্রায় ৩০ হাজার লোক আক্রান্ত। মারা গিয়েছেন ৯৩৪ জন। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরও মৃত্যু হচ্ছে। ভারতে যখন কিছু এলাকায় লকডাউন তুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে, তখনই করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও বেশি করে চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের মৃত্যুর খবর আসছে। সোমবারই কলকাতায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক চিকিৎসক মারা গিয়েছেন। তার একদিন আগে এক স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এর আগেও একজন চিকিৎসক মারা গিয়েছেন। মধ্যপ্রদেশে মারা গিয়েছেন দুই জন এবং মুম্বইতে একজন চিকিৎসক।
দিল্লি, কর্ণাটক সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পুরোভাগে থাকা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মৃত্যুতে রীতিমতো চিন্তিত স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
পশ্চিমবঙ্গে করোনায় যে দ্বিতীয় চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে তিনি অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন। করোনার প্রকোপ বাড়লেও তিনি রোগী দেখা বন্ধ করেননি। রোগীদের কষ্টের কথা ভেবে আগের মতোই তাঁদের দেখেছেন, এমনকী অস্ত্রোপচারও করেছেন। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। ১৭ এপ্রিল ৬৯ বছর বয়সী এই চিকিৎসককে ভেন্টিলেটারে দিতে হয়। সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। একদিন আগে ওই হাসপাতালেই এক স্বাস্থ্যকর্মীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। এই করোনা-যোদ্ধার মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ''মানবতার স্বার্থে তাঁর ত্যাগ চিরদিন মনে থাকবে।''
শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রেও করোনায় চিকিৎসকদের মৃত্যু হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে প্রথম চিকিৎসকের মৃত্যু হয় ইন্দোরে। তিনি বস্তিবাসীদের চিকিৎসা করতেন। করোনার পরেও তা থামাননি। দ্বিতীয় চিকিৎসকের মৃত্যুও ইন্দোরেই। মুম্বইতেও এক প্রবীণ চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।
লকডাউন চলার সময়েই এই ভাবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এদিকে লকডাউনের মেয়াদ আর কতদিন বাড়ানো হবে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার নয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দেশের এলাকাগুলিকে এখন তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। লাল বা যেখানে করোনার প্রকোপ খুব বেশি, কমলা বা যেখানে করোনার প্রকোপ আছে, কিন্তু তা মারাত্মক আকার নেয়নি এবং সবুজ, যেখানে করোনার প্রকোপ নেই।
দেশের সর্বত্র লকডাউন জারি না করে শুধু লাল এলাকায় লকডাউনের কথা ভাবা হচ্ছে। সবুজ এলাকা পুরোপুরি ও কমলা এলাকা আংশিকভাবে খুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। তবে বিমান, রেল ও বাস চলাচল শুরু করা নিয়ে এখনও সংশয় আছে। মোদী জানিয়েছেন, ''আরও কিছুদিন মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সরকার ৩ মে নাগাদ নেবে।'' পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া-- ‘‘লকডাউন নিয়ে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর শরীরের ভাষা দেখে মনে হলো লকডাউন চলবে। আমরাও সে রকম প্রস্তুতি নিচ্ছি “ বস্তুত, রাজ্যে ২১ মে পর্যন্ত লকডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে লকডাউনের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় শ্বশুরবাড়িতে অশান্তির জেরে বাপের বাড়ি যেতে গিয়ে ২৫ কিলোমিটার পথ একা হেঁটেছেন এক গর্ভবতী মহিলা। তাঁর স্বামী থাকেন মহারাষ্ট্রে। শ্বশুরবাড়িতে কাউকে না জানিয়ে তিনি হাঁটতে শুরু করেন। ২৫ কিলোমিটার হাঁটার পর পরিশ্রান্ত হয়ে বনপাস স্টেশনের গাছতলায় বসে তিনি কাঁদছিলেন। এমন সময় তাঁকে দেখে ফেলেন স্থানীয় একজন। তিনি স্থানীয় লোক ও পুলিশকে খবর দেন। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে গর্ভবতীকে বাঁকুড়ায় বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
করোনায় দেশজুড়ে প্রায় ৩০ হাজার লোক আক্রান্ত। মারা গিয়েছেন ৯৩৪ জন। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরও মৃত্যু হচ্ছে। ভারতে যখন কিছু এলাকায় লকডাউন তুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে, তখনই করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও বেশি করে চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের মৃত্যুর খবর আসছে। সোমবারই কলকাতায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক চিকিৎসক মারা গিয়েছেন। তার একদিন আগে এক স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এর আগেও একজন চিকিৎসক মারা গিয়েছেন। মধ্যপ্রদেশে মারা গিয়েছেন দুই জন এবং মুম্বইতে একজন চিকিৎসক।
দিল্লি, কর্ণাটক সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পুরোভাগে থাকা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মৃত্যুতে রীতিমতো চিন্তিত স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
পশ্চিমবঙ্গে করোনায় যে দ্বিতীয় চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে তিনি অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন। করোনার প্রকোপ বাড়লেও তিনি রোগী দেখা বন্ধ করেননি। রোগীদের কষ্টের কথা ভেবে আগের মতোই তাঁদের দেখেছেন, এমনকী অস্ত্রোপচারও করেছেন। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। ১৭ এপ্রিল ৬৯ বছর বয়সী এই চিকিৎসককে ভেন্টিলেটারে দিতে হয়। সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। একদিন আগে ওই হাসপাতালেই এক স্বাস্থ্যকর্মীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। এই করোনা-যোদ্ধার মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ''মানবতার স্বার্থে তাঁর ত্যাগ চিরদিন মনে থাকবে।''
শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রেও করোনায় চিকিৎসকদের মৃত্যু হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে প্রথম চিকিৎসকের মৃত্যু হয় ইন্দোরে। তিনি বস্তিবাসীদের চিকিৎসা করতেন। করোনার পরেও তা থামাননি। দ্বিতীয় চিকিৎসকের মৃত্যুও ইন্দোরেই। মুম্বইতেও এক প্রবীণ চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।
লকডাউন চলার সময়েই এই ভাবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এদিকে লকডাউনের মেয়াদ আর কতদিন বাড়ানো হবে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার নয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দেশের এলাকাগুলিকে এখন তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। লাল বা যেখানে করোনার প্রকোপ খুব বেশি, কমলা বা যেখানে করোনার প্রকোপ আছে, কিন্তু তা মারাত্মক আকার নেয়নি এবং সবুজ, যেখানে করোনার প্রকোপ নেই।
দেশের সর্বত্র লকডাউন জারি না করে শুধু লাল এলাকায় লকডাউনের কথা ভাবা হচ্ছে। সবুজ এলাকা পুরোপুরি ও কমলা এলাকা আংশিকভাবে খুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। তবে বিমান, রেল ও বাস চলাচল শুরু করা নিয়ে এখনও সংশয় আছে। মোদী জানিয়েছেন, ''আরও কিছুদিন মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সরকার ৩ মে নাগাদ নেবে।'' পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া-- ‘‘লকডাউন নিয়ে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর শরীরের ভাষা দেখে মনে হলো লকডাউন চলবে। আমরাও সে রকম প্রস্তুতি নিচ্ছি “ বস্তুত, রাজ্যে ২১ মে পর্যন্ত লকডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে লকডাউনের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় শ্বশুরবাড়িতে অশান্তির জেরে বাপের বাড়ি যেতে গিয়ে ২৫ কিলোমিটার পথ একা হেঁটেছেন এক গর্ভবতী মহিলা। তাঁর স্বামী থাকেন মহারাষ্ট্রে। শ্বশুরবাড়িতে কাউকে না জানিয়ে তিনি হাঁটতে শুরু করেন। ২৫ কিলোমিটার হাঁটার পর পরিশ্রান্ত হয়ে বনপাস স্টেশনের গাছতলায় বসে তিনি কাঁদছিলেন। এমন সময় তাঁকে দেখে ফেলেন স্থানীয় একজন। তিনি স্থানীয় লোক ও পুলিশকে খবর দেন। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে গর্ভবতীকে বাঁকুড়ায় বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।









কোন মন্তব্য নেই