করোনা পজিটিভ ২০ জন, ৭ দিনে ১০০০ বেডের হাসপাতাল গড়ে হিমন্তবিশ্ব শর্মা বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : অসমে আবার চার জনের দেহে মারণ রোগ করোনার
সংক্রমণ ধরা পড়ল, আগে ১৬ জন, ২০ জনে দাঁড়ালো, এই সব মানুষ
দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হিমন্তবিশ্ব শর্মা আজ জানান। তিনি বলেন, উত্তর প্রদেশের
বাসিন্দা তিন জন নল বাড়ির মাদ্রাসায় প্রশিক্ষণ দিতে এসেছিলেন ২২ মার্চ, অসমে আসেন, বাকি ১ জন সাউথ
সালমারার। তিনি জানান, ২১, ২২ মার্চ অসমে আসা বহু ব্যাক্তি আছেন যাদের
খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, জাতপাত দেখে
করোনা ভাইরাস রোগ হয় না। অহেতুক রাজনীতি করা হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন মন্ত্রী
বলেন, এই মারাত্বক রোগ প্রতিরোধে ডাক্তার, নার্স, আশাকর্মীরা
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যারছেন, তাদেরকে যাতে
কোনোভাবে হয়রানি করা না হয়, তাদের অপদস্ত করা না হয় তা আমাদের সকলকে
সুনিশ্চিত করতে হবে, নতুবা কাজ বন্ধ করে দেবে
ডাক্তার নার্সরা। উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গে এবং অসমেও এই জটিল পরিস্থিতিতে প্রাণের
ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অপদস্ত হয়েছেন, মধ্যপ্রদেশের
ইন্দোরে ডাক্তার নার্সদের রীতিমতো মারধর করা হয়েছে, দিল্লিতেও
হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে। সেসব ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা
জানিয়ে দিলেন, ডাক্তার নার্সদের
বিরুদ্ধে কোনো ধরনের হেনস্থা বরদাস্ত করা হবে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী
সরুসোজাই স্টেডিয়ামের ১০০০ বেডের হাসপাতালে রুগী ভর্তি শুরু হয়ে গেল। নিজামুদ্দিনের
ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে আসা এই ৭৩ জনকে কয়রেন্টিনে রাখা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে হাজার বেডের হাসপাতাল নির্মাণ হলো, তা লাহে লাহে রাজ্যে অবাক হওয়ার কথা, একমাত্র হিমন্তবিশ্ব শর্মার জন্যে সম্ভব হয়েছে, তা রাজ্যবাসী এক মুখে স্বীকার করছেন।
কোন মন্তব্য নেই