জাতীয় নাগরিক পঞ্জির প্রাক্তন সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলার ফাঁকি ধরে ফেললেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিলেন
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : জাতীয় নাগরিক পঞ্জির প্রাক্তন সমন্বয়ক প্রতীক
হাজেলা নানা দুর্নীতিতে হাত পাকিয়ে, কয়েক লাখ সংখ্যালঘু
ভারতীয় নাগরিকদের নাম বাদ দিয়ে, কয়েক লাখ বিদেশির
নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ব্যাপক কারচুপি
করার পর, কয়েকশো কোটি টাকা তছনছ করার পরও তার শাস্তি হলোনা
বলে অভিযোগ তুলে এপি ডব্লিউ প্রধান অভিজিৎ শর্মা সুপ্রিম কোটের কাছে সুবিচার
চেয়েছিলেন, সব দুর্নীতি থাকার পরও
হাজেলাকে কোনও অদৃশ্য শক্তি নিজের রাজ্য মধ্যপ্রদেশ পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন। তার
পাহাড় সমান দুর্নীতির সঙ্গে অসমের বহু ব্যাক্তি, সংগঠন জড়িত বলে এ
পি ডব্লিউ নানা অভিযোগ করে ছিলো। মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিব রাজ সিং
চৌহান আই এ এস অফিসার রাজ্যের। স্বাস্থ্য কমিশনার প্রতীক হাজেলার ফাঁকিবাজি ধরে
ফেলেছেন, গত বুধবার তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। করোনা
ভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠকে হাজেলা মুখ্যমন্ত্রীকে ভুল তথ্য দেন। আগের
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হাজেলার সব তথ্য ব্যাক্তিগতভাবে নোট করে রাখেন, বুধবারের বৈঠকে হাজেলা অন্য এক তথ্য দিয়ে
মুখ্যমন্ত্রীকে ভুল পথে পরিচালনা করেন বলে দিল্লির এক সূত্র জানান। এই অফিসার
মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালকে পাত্তা দেননি। রাজ্য সরকার সীমান্ত জেলাতে এন আর
সি তালিকা নতুন করে পরীক্ষার দাবিকে পাত্তা দেননি। নিজের খুশি মতো এক সংগঠন ও কয়েকজন অসাধু ঠিকাদার, অফিসারের মদত পেয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতিতে
লিপ্ত হয়েছিলেন। অর্থমন্ত্রী
হিমন্তবিশ্ব শর্মা প্রতীক হাজেলার বিরুদ্ধে দুর্নীতির সব অভিযোগ সাংবাদিকের সামনে
প্রকাশ করে দেন। ক্যাগের সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে কম্পিউটার কেনার নামে, বিজ্ঞাপন দেওয়ার নামে, কি হারে দুর্নীতি হয়েছে। এপি ডব্লিউ এই পাহাড়
সমান দুর্নীতি তদন্তে এনআইএ বা সিবিআই-কে দায়িত্ব দেবার দাবি কি সরকার মানবে?
কোন মন্তব্য নেই