চাল গিলছে ডিলার, দোকানে অতি দরে ফাঁপরে জনগণ
অনিন্দ্য ভট্টাচার্য্য, বদরপুরঃ একেই বলে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। করোনা আক্রমণে
সবাই যখন দিশাহারা। লক ডাউন আর রোজগার বন্ধের সাঁড়াশি চাপে যখন সাধারণ মানুষের
নাভিশ্বাস উঠছে। তখন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই তালে টু পাইস কামিয়ে নিতে শুরু
করেছেন। সরকার রেশন কার্ডে মাথা পিছু পাঁচ কেজি করে চাল বরাদ্দ করলেও অনেক ডিলার
দেওয়ার সময় প্রতি পরিবারকে ২-৩ কেজি চাল কম দিচ্ছেন। বদরপুর সমষ্ঠির অনেক ডিলারের
সম্বন্ধে এই খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া শ্রীগৌরী সহ অন্যান্য বেশ কিছু বড় মুদি দোকানি যারা এই দুঃসময়ের আঁচ করতে পেরে আগেভাগেই চাল
ডাল পর্যাপ্ত স্টক করতে পেরেছিলেন, তাঁদের এখন
পোয়াবারো। চাল, ডাল, তেল, আটা, চিনি-প্রতিটা
সামগ্রীই কেজিতে কুড়ি পঁচিশ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। অজস্র ক্রেতা এই অভিযোগ
করেছেন। এছাড়া করিমগঞ্জে পিডিএফ সামগ্রীর পর্যাপ্ত স্টক থাকলেও পরিবহন সুবিধা না
থাকাতে বেশির ভাগ ব্যবসায়ী মাল আনতে পারছেন না। ফলে একদিকে যেমন খাদ্য সামগ্রীর
সঙ্কট দেখা দিচ্ছে তেমনি অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে
অসাধু ব্যবসায়ীরা এর ফায়দা লুটছেন। যদি প্রশাসন পরিস্থিতি সামলাতে কঠোর এবং
উপযুক্ত পদক্ষেপ সত্ত্বর না নেয় তবে তা আগামী দুই একদিনের মধ্যে জটিল আকার ধারণ
করার সম্ভাবনা।
কোন মন্তব্য নেই