করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের নেতৃত্বে টিম হিসাবে কাজ করছে : চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী
অসমে ৭৭ শতাংশ
রুগী সুস্থ হয়ে উঠেছে দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : অসম সরকার ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম সহ বিভিন্ন রাজ্যে খ্যদ্য ও ঔষধপত্র
পাঠিয়ে সহযোগিতা করছে। অসমে লগডাউন করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজ্যে সরকার বিরোধী
দল, সব দলের বিধায়ক, পুলিশ, সাংবাদিক ডাক্তার, নার্স সবাই মিলে টিম হিসেবে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় যৌথভাবে
কাজ করছে বলে দাবি করে শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে
একথা বলেন। তিনি বলেন, রাজ্যে ৩৫৭ ওয়াগন করে মালগাড়িতে খাদ্য সামগ্রী এসেছে। ৩৪
ট্রাক খাদ্যসামগ্রী, ঔষধপত্র মনিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম ত্রিপুরাতে পাঠানো হয়েছে। তিনি দাবি করেন, রাজ্যে খাদ্য মজুত আছে, ঔষধপত্র আছে। কোনো অভাব নেই। বাইরের রাজ্যগুলি থেকে কয়েক হাজার ট্রাক খাদ্য
সামগ্রী নিয়ে এসেছে। ২৫, ২৬, ২৭ এই তিন দিন
ধরে রাজ্যের প্রায় ৪১ হাজার বিভিন্ন স্থানে আবদ্ধ মানুষকে নিজের নিজের স্থানে
পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আরও তিন দিন অর্থাৎ ২৮, ২৯, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নিজের নিজের গাড়িতে করে নিজের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ
দেওয়া হয়েছে। তাদের দু-রাউন্ড যাওয়ার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। পরিবহনমন্ত্রী পাটোয়ারী
জানান, আজ প্রায় ১২ হাজার মানুষকে নিজের বাড়িতে ফিরে
যাওয়ার জন্যে ৩৮৭টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তিনি জানান, অসমের উৎপাদিত সবুজ শাক-সব্জি বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরও
জানান, লকডাউনের প্রেক্ষিতে গাড়ি, মোটর বাইক রেজিস্ট্রি করার সময় সীমা ৩০ জুন
পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা আজ জানিয়েছেন, অসমে ৭৬১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৭ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেন, অসমে ৭৭ শতাংশ রুগী সুস্থ হয়ে উঠেছে। নমুনা
সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৬১৬ জনকে। ২০৯ জনের রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। গত রাত
পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত হয়েছে ২৬ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৮১৫ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন
৫৯৯১ জন। সেই তুলনায় অসমের অবস্থা অনেক ভালো। স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বলেন, অসমে ২ লক্ষ ৭০ হাজার পি পি ই কিট আছে। এন-৯৫ মাস্ক আছে ৫২ হাজার। ত্রিস্তরের মাস্ক আছে কয়েক লক্ষ। তিনি জানান, রাজস্থানের কোটা
থেকে ৩০০-র বেশি ছাত্রছাত্রী এসে পৌঁছেছে। ছাত্রীদের হোটেলে এবং ছাত্রদের সরুসোজাই কয়রেন্টিন সেন্টারে রাখা
হবে। তিনি জানান, শুধু কর্নাটক থেকে ১ লক্ষ অসমের মানুষ আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন
করেছেন। বাইরের রাজ্যে আবদ্ধ হয়ে থাকা সকলকে সরকার ২ হাজার করে টাকা পাঠাবে। ক্যান্সার, কিডনি প্রভৃতি রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের ২৫
হাজার করে টাকা পাঠানো হবে বলে মন্ত্রী জানান।









কোন মন্তব্য নেই