চাপে পড়ে মদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, অসমে আক্রান্ত আরও এক, ৩২ পজিটিভ মেঘালয়ে প্রথম পজিটিভ কেস, মারা গেলেন একজন ডাক্তার
নয়া ঠাহর, গুয়াহাটিঃ ইরানে মদ তৈরির
স্পিরিট খেয়ে করোনা থেকে বাঁচতে ৬০০ জনের প্রাণ গেছে, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার সেই বিষ মদ হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করে যুব
প্রজন্মকে বেপথে যাওয়ার পথ পরিষ্কার করেছে। অসম সরকার মদের
উপর নিষেধাজ্ঞা করে দুদিনেই ৬০, ৭০ কোটি টাকা রেভিনিউ আদায় করে কেন্দ্রের গাল খেয়ে
শেষ পর্যন্ত মদ বন্ধ করতে বাধ্য হল। আবগারি বিভাগের সহকারী
কমিশনার এস কে মেধি আজ এক আদেশ দিয়ে তা বন্ধ করে। মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের মুখ
পুড়লো। তিনি মদের দোকান খোলার পক্ষে জোরালো যুক্তি
তুলে ধরেন। এবারও ভাবেননি মদ খেয়ে যুব প্রজন্ম অপরাধজনক
কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বাধিক সনোয়াল কিন্তু মদের উপর নিষেধাজ্ঞা
আরোপের পক্ষে ছিলেন। লকডাউনের সময় অসমে বহু পরিমান অপরাধজনক ঘটনা কমেছে। সড়ক
দুর্ঘটনা নেই বললেই চলে। চিরাঙে একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আজ জোরহাট থেকে একটি পথ দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। অসমে কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত
আরও এক জনের খবর পাওয়া গেছে। ধুবড়ির এক মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন। তার স্বামীও পজিটিভ। তিনি নিজামুদ্দিন থেকে এসেছিলেন বলে সরকার জানিয়েছে। মেঘালযে সর্বপ্রথম বেথনী
হাসপাতালের ৬৬ বছরের ডাক্তার জন এল সাইলো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কর্ণাদ সাংমা টুইট করে বলেছেন, ৬৮ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ৬ জনের দেহে পজিটিভ ধরা পড়েছিল। পরে পুনরায় পরীক্ষা করা হলে ৬ জনই নেগেটিভ দেখা
গেছে। করোনা সংক্রমণ রোধে মেঘালয় সরকার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আজ থেকে লক ডাউনের
সেকেন্ড পর্যায় শুরু হয়েছে। ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত
কেন্দ্র রাজ্যগুলোর লকডাউনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সন্তুষ্ট হলে ২০ এপ্রিল
থেকে কিছু শিথিল করবে, নতুবা আরও কড়া হবে। ২০ এপ্রিল থেকে নিয়ম মেনে
চা বাগানের ৫০ ভাগ শ্রমিক, সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করবে। অসমে অবশ্য অনেক চা বাগানে কাজ শুরু হয়েছে। কৃষকদের জমিতে কাজের অনুমতি দেওয়া হবে। যাত্রীবাহী ট্রেন, ঘরোয়া, আন্তর্জাতিক বিমান লকডাউনের শেষ দিন ৩ মে পর্যন্ত
বন্ধ থাকবে। তবে মালবাহী কার্গো বিমান, হেলিকপ্টার চলবে, চলবে মালবাহী
ট্রেন। প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে গরম জল,
তুলসি পাতা, আদা ইত্যাদি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। গরিবদের সাহায্য করতে বলেছেন, বেসরকারি কোম্পানির মালিকদের কাছে অনুরোধ করেছেন এই সময় যেন কর্মী ছাঁটাই করা
না হয়। ইতিমধ্যে দেশের বড় বড় সংবাদপত্র গোষ্ঠী ব্যপক হারে ছাঁটাই শুরু করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর আবেদনকে গুরুত্ব দেয় নি।
কোন মন্তব্য নেই