ভারতের সাবেক ফুটবল অধিনায়ক চুনি গোস্বামীর মৃত্যুতে মর্মাহত গোটা ময়াদানি দুনিয়া
নয়া ঠাহর
প্রতিবেদন, কলকাতা : একের পর এক ইন্দ্রপতন। এবার মৃত্যু হল ময়দানের কিংবদন্তি চুনী গোস্বামীর। গত কয়েকমাস ধরে গোস্বামী সুগার, নার্ভের সমস্যা প্রভৃতি রোগে ভুগছিলেন। কলকাতায় ভারতের বিখ্যাত ফুটবল অধিনায়ক চুনি গোস্বামী
দিনের প্রথম দিকে একটি সিটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পরে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে
বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
১৯৬২-র এশিয়ান গেমসের স্বর্ণপদক জয়ী দলের অধিনায়ক গোস্বামীও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তার অধিনায়কত্বের অধীনে,
ভারতীয় ফুটবল দল ১৯৬২ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণ জিতেছিল,
১৯৬৪ সালে এশিয়ান কাপে রানার-আপ শেষ করেছিল এবং ৬ মাস পরে মার্দেকা ফুটবলে বার্মার কাছে হেরে যায়। ক্লাব ফুটবলে গোস্বামী সর্বদা মোহুন বাগানের হয়ে খেলতেন। কলেজের দিনগুলিতে,
তিনি একই বছর ফুটবল এবং ক্রিকেট উভয় ক্ষেত্রেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৫৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সূচনা করে গোস্বামী জাতীয় দলের অন্যতম বড় তারকা ছিলেন। তবে,
তিনি ২৭ বছর বয়সে ১৯৬৪ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল ত্যাগ করেন।
শুধু ফুটবল নয়,
গোস্বামী ক্রিকেটেও সফল ছিলেন। ১৯৬৬ সালে তিনি এবং সুব্রত গুহ ইন্দোরের হনুমান সিংয়ের নেতৃত্বে সম্মিলিত কেন্দ্রীয় এবং পূর্ব অঞ্চল দল গ্যারি সোবার্স ওয়েস্টইন্ডিজের ঐতিহাসিক ইনিংসের জয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন। সেখানে আটটি উইকেট নিয়েছিলেন গোস্বামী। ১৯৭১-৭২-তে মৌসুমে তাকে বেঙ্গল রঞ্জি ট্রফির অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল এবং তার নেতৃত্বে দলটি ব্র্যাবর্ন স্টেডিয়ামে বুম্বাইয়ের বিপক্ষে হেরে ফাইনালে পৌঁছেছিল।
করোনার অসুখী সময় শুরু হওয়ার আগেই বাড়ির দরজা নক করে একদিন পোস্টম্যান ছবি চায়। দিনটা ছিল তাঁর ৮২তম জন্মদিনের ঠিক আগে। পোস্টম্যান জানান,
ভারত সরকারের তরফে এক অভাবনীয় স্বীকৃতি পেতে চলেছেন তিনি।
মৃত্যুর মাত্র তিন মাস আগে চুনীর নামে ছাপার তোরজোড় শুরু হয় পোস্টেজ স্ট্যাম্প। তাঁর বাড়িতেই সেই স্ট্যাম্প পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। সেদিন আবেগে রুদ্ধ হয়ে এসেছিল তাঁর স্বর। সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,
জীবন উপান্তে এতবড় সম্মান পেয়ে ভাল লাগছে। অতীতে শচীন তেন্ডুলকর ছাড়া কোনও ভারতীয় পুরুষ ক্রীড়াবিদ এই বিরল সম্মান পাননি। ফুটবলকেই জীবন করেছিলেন চুনী। তাঁর মৃত্যুতে আজ মর্মাহত গোটা ময়াদানি দুনিয়া।









কোন মন্তব্য নেই