হাফলং বাজারে বাইরের শাক সব্জী বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা, ফলে শাক সব্জীর তীব্র সংঙ্কট দেখা দিয়েছে
বিপ্লব দেব হাফলং ৮ এপ্রিলঃ কোভিড ১৯ রোগ প্রতিরোধে সমগ্র দেশ জুরে ২১ দিনের লক ডাউন চলছে। ইতিমধ্যে লক ডাউনের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু এই লক ডাউনের মধ্যে দরিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী পরিবার গুলির মধ্যে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে দরিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী পরিবার গুলির জন্য ত্রান সামগ্রী বন্টন করার কথা ঘোষণা করার পর দরিদ্র পরিবার গুলি পর্যাপ্ত ত্রান সামগ্রী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে ইতিমধ্যে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে ডিমা হাসাও জেলার অনেক জায়গায় দরিদ্র দিন মুজুর করে খেটে খাওয়া মানুষ গুলি সরকারি সাহায্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এমন অভিযোগ সর্বত্র। যা থেকে জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। এদিকে হাফলং শহরে শাক সব্জীর সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বুধবার হাফলং শহরে শাক সব্জীর তীব্র সংঙ্কট ছিল।
কিন্তু এনিয়ে জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহন করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। হাফলং বাজারে শাক সব্জী বহু পরিমানে মজুত রয়েছে কিন্তু এই শাক সব্জী বিক্রি করতে পারছে না ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন মহল থেকে পাওয়া অভিযোগ মতে বাইরে থেকে আসা সব্জী বাজারে বিক্রি করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে খাদ্য ও অসামরিক যোগান বিভাগে। হাফলং বাজারের বহু সব্জী বিক্রেতার অভিযোগ বিভাগীয় তরফে তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে বাইরের সব্জী বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। খাদ্য ও অসামরিক বিভাগের ফরমান শুধু স্থানীয় শাক সব্জী বাজারে বিক্রি করা হবে তবে স্থানীয় ভাবে ডিমা হাসাও জেলায় সব্জী উৎপাদন হয় তা পর্যাপ্ত নয়। তার উপর লক ডাউনের দরুন গ্রামঞ্চল থেকে সব্জী নিয়ে বাজারে বিক্রি করতে আসতে পারছে না অনেকে তাই বুধবার হাফলঙে শাক সব্জীর তীব্র সংঙ্কট দেখা দেয়। বাইরের শাক সব্জী বাজারে বিক্রির উপর জেলা প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঠিকই কিন্তু তার জন্য বিকল্প কোনও ব্যবস্থা গ্রহন করে নি জেলা প্রশাসন বলে অনেকেই বুধবার অভিযোগ করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন বাইরের শাক সব্জী বিক্রি করার উপর জেলা প্রশাসন যে ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এতে সমস্যায় পরেছে হাফলং শহরের মানুষ তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এনিয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত না হলে সমস্যা তীব্র আকার ধারন করবে।









কোন মন্তব্য নেই