Header Ads

সেরে ওঠা রোগীর প্লাজমাতেই কি করোনা দমন, নতুন পথের সন্ধান মার্কিন চিকিৎসকদের !!

  • বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
     
    করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় নতুন পথের খোঁজ পেয়েছে মার্কিন চিকিৎসকরা। সেরে ওঠা রোগীর প্লাজমা তাঁরা ব্যবহার করছেন করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায়। ইতিমধ্যেই এএবিবি নামে একটি অলাভজনক সংস্থা আমেরিকার বিভিন্ন ব্লাডব্যাঙ্কে করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগীর প্লাজমা সংগ্রহের গাইডলাইন দিয়েছে। মনে করা হচ্ছে সেরেওঠা রোগীর শরীরে তৈরি হওয়া রক্তের প্লাজমায় সেরে উঠবেন অন্য রোগীরা। এই পদ্ধতির চিকিৎসা শতাব্দী প্রাচীন বলে দাবি করেছেন তাঁরা। 
     
    আমেরিকায় করোনা ভাইরাস আক্ষরিক অর্থেই মহামারীর চেহারা নিয়েছে। দিনে ৫০০-র কম মৃত্যু হচ্ছে না বললেই চলে। এই চরম সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে নতুন পথের সন্ধান পেয়েছেন
    একদল মার্কিন চিকিৎসক। তাঁরা শতাব্দী প্রাচীন প্লাজমা থেরাপি বেছে নিয়েছেন। যাতে সেরে ওঠা রোগীর রক্তের প্লাজমা ব্যবহার করা হচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায়। সেরে ওঠা রোগীর প্লাজমা আক্রান্ত রোগীর শরীরে ইনজেক্ট করা হচ্ছে। একাধিক ভাইরাল ফ্লুয়ের চিকিৎসায় এই পদ্ধতি নেওয়া হয়েছিল আগে। 
     
    এই প্লাজমা থেরাপির সাহায্যে এর আগে ১৯১৮ সালে ছড়িয়ে পড়া মারাত্মক ফ্লুকে নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছিল। ১৯৩০ সালে হামের চিকিৎসাতেও ব্যবহার হয়েছিল এই প্লাজমা থেরাপি। খুব সম্প্রতি ইবোলা, সার্স, H1N1 ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসাতেই এই প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে। যাতে অনেকটাই মৃত্যুর হার কমানো গিয়েছিল। করোনা দমনে এবার তাই সেই পথে এগোতে শুরু করেছেন মার্কিন চিকিৎসকরা।
    করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে আমেরিকায়। তারসঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ মানুষ নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন গোটা বিশ্বে। শুধু আমেরিকা তেই করোনা আক্রান্ত ২ লাখ মানুষ। করোনা প্রায় আড়াই লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে আমেরিকায় এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা ! পরিস্থিতি উদ্বেগজনক আঁচ করে লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ট্রাম্প সরকার।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.