Header Ads

অত্যাবশ্যক সামগ্ৰী নিয়ে গৃহবন্দি দুস্থ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ছুটে চলেছে ‘সেবা ভারতী পূৰ্বাঞ্চল’


গুয়াহাটি, ৭ এপ্রিল (হি.স.) : মহামারি করোনা ভাইরাস বৰ্তমানে মানবজীবনের অস্তিত্বকে সংকটে ফেলেছে। চিনের উহান শহর এর উৎপত্তি স্থল। ইতিমধ্যে করোনার ভরকেন্দ্ৰ হয়ে উঠেছে আমেরিকাও। সেখানে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্ৰান্তের সংখ্যা সাড়ে ৩ লক্ষ অতিক্রান্ত। ভারতে এই খবর লেখা পৰ্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১১৪ জনের। আক্ৰান্ত হয়েছেন ৪,৪২১ জন। স্বস্তির বিষয়, ৩০০-র বেশি মানুষ এই সংক্রমণের সঙ্গে যুদ্ধ করে বিজয় লাভ করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
সাধারণ মানুষের মধ্যে মারণ এই ভাইরাসের সংক্ৰমণ ঠেকাতে তথা পরিস্থিতি সামলাতে কেন্দ্ৰীয় সরকারের নিৰ্দেশে গত ২৪ মাৰ্চ মধ্যরাত থেকে সারা দেশে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। লকডাউনের ২ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও আরও এক সপ্তাহ বাকি। এমতাবস্থায় রুটিরোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে দরিদ্র পরিবারবর্গের। খাদ্যদ্রব্য-সহ নিত্য প্ৰয়োজনীয় সামগ্ৰী সংগ্ৰহ করতে ঘর থেকে বেরোতে পারছেন না কেউই। বাজারহাট, দোকানপাট, শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠান সমস্ত কিছুই বন্ধ। করোনা সংক্ৰমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ থেকে বার বার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে। ফলে সংকটে পড়েছেন শ্ৰমিক তথা খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং বিপৰ্যয় মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে সর্বভারতীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেবা ভারতী পূৰ্বাঞ্চল
সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পণ নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। বেশ কিছুদিন ধরে দেশের উত্তর-পূৰ্বাঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্তে গরিব তথা সাধারণ মানুষের মধ্যে ত্ৰাণ সামগ্ৰী বিতরণ করছেন সেবা ভারতী পূৰ্বাঞ্চল’-এর কার্যকর্তারা। সংকটের এই মুহূৰ্তে সংগঠনটি তাদের সামৰ্থ অনুযায়ী কার্যকর্তারা অসমের বিভিন্ন প্ৰান্তে চাল, ডাল, নুন, তেল, সাবান, স্যনিটাইজার সমেত নিত্য প্ৰয়োজনীয় খাবারের জিনিস পৌঁছে দিচ্ছেন। তাছাড়া মহামারিজনিত পরিস্থিতির মোকাবিলা কীভাবে করতে হবে সাধারণ মানুষের মধ্যে তার জন্য সংগঠনটি সচেতনতামূলক অভিযোনও চালিয়েছে। ত্ৰাণ সামগ্ৰী সাধারণ মানুষের কাছে সহজে পৌঁছে দিতে সংগঠনের কার্যকর্তাদের সাহায্য করেছে সংশ্লিষ্ট প্ৰান্তের প্ৰশাসনও। 
সংগঠনের সদস্যরা গত দুদিনে প্ৰাথমিক প্ৰয়োজনীয় সামগ্ৰী যেমন ৫৯,৬৭০ কেজি চাল, ১১,২২৭ কেজি ডাল, ,৮৮৯ লিটার তেল, ২৭ কেজি সোয়াবিন, ,১২৮ কেজি লবণ, ,২৯১টি সাবান, ১২৫ কার্টুন বিস্কুট, ,৯৪৩ কেজি সবজি, চিড়ে-মুড়ি ২১৮ কেজি, গম ২৬০ কেজি, ,০২৪টি তৈরি মধ্যাহ্ন ভোজনের প্যাকেট, বহু স্যানিটাইজার, মাস্ক বণ্টন করেছেন। কেন্দ্ৰীয় সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়মাবলি মেনে এই অভিযান চালিয়েছেন প্ৰায় ৭০০ জন কার্যকর্তা।
এছাড়া কোভিড-১৯ সংক্ৰমণ রোধ করতে বহু জনবহুল এলাকা এবং গৃহস্থদের বাড়ি ও বাড়ি-চত্বর, পেট্রোলপাম্প, বাজার এলাকাকে জীবাণু মুক্ত করতে স্যানিটাইজিঙের কাজও করছেন। সেবাভারতী পূর্বাঞ্চল এখন পৰ্যন্ত ১৪ হাজার ৫১৩টি পরিবারে ত্ৰাণসামগ্ৰী বিতরণ করেছে।(হিন্দুস্থান সমাচার)

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.