পেপার মিলের মৃত্যু মিছিলে এবার জমির আহমেদ, ৬৪ জনের মৃত্যু হল, সরকার নির্বিকার, নীরব
অমল গুপ্ত : আবার মৃত্য, আবার স্বজন
হারানো কান্না, কাছার পেপার মিলের কর্মী
জমির আহমেদ মজুমদার অকালে চলে গেলেন, আজ পর্যন্ত ৬৪ জন, বিনা বেতনে, বিনা চিকিৎসায়, পেপার মিল কর্তৃপক্ষের অবহেলা, অনাদরে মারা গেলেন। হিন্দুস্থান পেপার করপোরেশনের
অধীন কাছাড়ের পাঁচ গ্রাম এবং জাগিরোড পেপার মিল চার বছর থেকে বন্ধ, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বার বার নানা গাল ভরা
আশ্বাস দিয়ে যারছে, আর মৃত্যু মিছিল চলছেই, জমির আহমেদের অকাল মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেন
না। গত ফেব্রুয়ারিতে এক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন, তাকে গুয়াহাটি
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, সেখানে চিকিৎসার
ব্যবস্থা না থাকায় গুয়াহাটির অন্য এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু,
আর্থিক সংগতি না থাকায়, তাকে ফিরিয়ে
নিয়ে গিয়ে শিলচরে এক নার্সিং হোমে ভর্তি করার পর শেষ রক্ষা হল না। লগডাউনের মাঝে
গতকাল মারা যান। আজ যখন রাতে প্রদীপ জ্বালিয়ে করোনা জীবাণু তাড়ানোর লড়াই হলো, তার আগেই মাত্র ৫২ বয়সের জমির আহমেদ মজুমদারের
জীবন লড়াই থেমে গেলো। গরিব পরিবারের সন্তান পত্নী, পুত্র, কন্যাকে অনিশ্চয়তার জলে ভাসিয়ে চলে গেলেন। আজ
তার জানাজা সম্পন্ন হয়। নির্দল ইউনিয়নের নেতা আজিজুর রহমান মজুমদার এবং আই এন টি
ইউ সি-র নেতা মানবেন্দ্র চক্রবর্তী জমির আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। নেতৃদ্বয়
ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, না রাজ্য, না কেন্দ্র কোনো সরকার
পেপার মিল দুটি নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা করছে না। মজুমদার অভিযোগ করেন কেন্দ্র করোনা
মোকাবিলায় কয়েক লক্ষ টাকা বরাদ্দ করলো, অথচ পেপার মিলে
মৃত্যুর মিছিল চলছে, ৬৪ জনের অবহেলাতে, ভুভুক্ষ অবস্থায়
বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল, কিছু টাকার জন্যে জমির আহমেদ ঠিক মত চিকিৎসা পর্যন্ত
করতে পারলেন না। সংসারটা ভেসে গেল।
কোন মন্তব্য নেই