Header Ads

খেতে নষ্ট টন -টন সবজি, শহরে সবজির আকাল,দাম আকাশ ছোয়া



নয়া ঠাহর প্রতিবেদন।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বন্ধ করতে সমগ্র দেশে লক ডাউন ঘোষণা করেন প্রধান মন্ত্ৰী।নরেন্দ্র মোদি।এই লক ডাউনের  প্রভাব দেশের সমস্ত ক্ষেত্রেই পড়েছে।কিন্তু লক ডাউনের ফলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে  কৃষকরা । যে সময়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয় সে সময় ছিল খারিফ শস্যর সময়। এইসময় কৃষকেরা ক্ষেতের ফসল  বাজারে বিক্রি করার জন্য তৈরি হচ্ছিল ।কিন্তু তাদের সে সুযোগ আর হলোনা করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের ফলে সমগ্র দেশের সাথে রাজ্যেও লক ডাউন ঘোষণা করা হল
উল্লেখ্য যে রাজ্যের যে সমস্ত ছোট ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে অথবা চড়া সুদে টাকা নিয়ে স্বাবলম্বী হবার আশায় বিঘা -বিঘা মাটিতে  সব্জির চাষ করেছিল তাদের এখন মাথায় হাত।অনেক ফসল খেতেই নষ্ট হয়ে গেছে,ও পচে গেছে।উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে কৃষকদের  কষ্টের উৎপাদিত সবজি ফেলে দিতে হয়েছে।

অথচ আগের বছরের তুলনায় এ বছর।আনাজের উৎপাদন ভালো হয়েছিল।বরপেটা রোডের শাক- সবজি উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে যেমন মিজোরাম,ত্রিপুরা, ছাড়াও অন্য অনেক স্থানে পাঠানো হয়।বর্তমানে বাজার প্রায় খালী।বাজারে নেই পাইকারী ব্যাপারী,।গাড়ির সংখ্য ও খুব কম।

লক ডাউনের ফলে একই পরিবেশ বিরাজ করছে খারুপেটিয়ার বাজারেও ।রাজ্যের সবচেয়ে বড় সবজির বাজার এটা।দৈনিক এখান থেকে ইটানাগর ইমফল ,বরাকউপত্যাকা,শিলং,তিনসুকিয়া,ইত্যাদি স্থানে সব্জী পরিবহন করা হয় সেখানেই বর্তমানে বাজার খালি।এই বাজারকে কেন্দ্র করে জীবন নির্বাহ করা কৃষকেরা বিপদে পড়েছে।

বিস্বনাথ চারিয়ালি রুপোহি ইত্যাদির বাজার গুলি তো অবস্থা আরো খারাপ। কৃষকেরা খেতের ফসল বাজার পর্যন্ত আনতে পারেনি। ফলে সমস্ত সবজি খেতেই পচে গেছে।নগরের পার্শ্ববর্তী এলাকার বাজার গুলিতেও একই অবস্থা। খেতের উৎপাদিত  বহু সবজি যেমন বেগুন,টমেটো,মিষ্ট কুমড়া,লাউ,শসা,লঙ্কা,করলা   বাজারে বিক্রি করতে না পারার জন্য নষ্ট হয়ে গেছে।এবং সেগুলিকে ফেলে দিতে হয়েছে।

শাক সবজির সাথে ফল ও নষ্ট হয়েছে প্রচুর।
গোয়ালপারাতে প্রচুর পরিমানে কলা,তরমুজ  উৎপন্ন হয়েছিল ।সমস্ত কলা নষ্ট হয়ে যাবার ফলে সেগুলিকে ফেলে দিতে হয়েছে।উৎপাদিত সবজি বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য নেওয়া  হয়েছে ।তবে বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে।  কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকল্পের ঘোষণা করে যদিও তবে সেটার যে কার্যত রূপায়ণ হয় না একথা আবারও  প্রমাণ হলো ।এ ছাড়াও রাজ্যে পর্যাপ্ত কোল্ড স্টোরেজ নেই  যাতে সবজি স্টোর করে রাখা যায়।

রাজ্যের খাদ্য যোগান মন্ত্রী ফনীভূষণ চৌধুরী   লকডাউনের ফলে অতি কম সংখ্যক সবজি নষ্ট হয়েছে বলে স্বীকার করেছে ।এক সংবাদ সম্মেলন যোগে লক ডাউনের সময় ৩৫১৭ মেট্রিক টন সবজি নষ্ট হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন।
এর সুযোগ গ্রহণ  করেছে একাংশ অসাধু ব্যবসায়ীরা ।সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে সেই অসাধু ব্যবসায়ীরা লক ডাউনের সময় কম দামের  সবজি নগরের বিভিন্ন স্থানে বেশি দামে বিক্রি করতে  দেখা গেছে।

প্রতিদিনই গুয়াহাটির বাজারে দুই হাজার মেট্রিক টন সবজির বিভিন্ন জায়গা থেকে আসে। কিন্তু সেই বাজার এখন বন্ধ হয়ে আছে  বর্তমানে লক ডাউনের  ফলে বিভিন্ন স্থান থেকে আসতে পারেনি আনাজ। বাজারে আগুন দাম।  কপালের ঘাম মাটিতে ফেলে উৎপাদিত আনাজ চোখের সামনে নষ্ট হয়ে গিয়ে উপার্জনের সমস্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে   যাওয়ার ফলে কৃষকরা বর্তমানে গভীর সংকটে রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.