Header Ads

লক ডাউন অমান্য করে হাফলং বাজারে ভিড় জমালেন একাংশ মানুষ

বিপ্লব দেব, হাফলং ২০ এপ্রিলঃ কোভিড ১৯ রোগ প্রতিরোধে সমগ্র দেশে দ্বিতীয় পর্যায়ে লক ডাউন চলছে। আগামী ৩ মে পর্যন্ত সমগ্র দেশে লক ডাউন জারি থাকবে। তবে অসমের যে ২০ টি জেলাকে গ্রিন জোন হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে এর মধ্যে রয়েছে ডিমা হাসাও জেলা। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার ঘোষণা গ্রিন জোন ঘোষণা করা জেলা গুলিতে ২০ এপ্রিলের লক ডাউন কিছুটা শিথিল করা হবে।

 এমন পরিস্থিতিতে সোমবার লক ডাউন অমান্য করে হাফলঙে প্রচুর মানুষ বাজারে ভিড় জমান। এমনকি পুলিশের অনুমতি বিহীন ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে রাজপথে বেরিয়ে পরেন অনেকেই বাধ্য হয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে পুলিশকে। লক ডাউন অমান্য করে রাস্তায় বেরোনোয় অনেককেই আজ পুলিশের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে। উল্লেখ্য কভিড ১৯ রোগ নিয়ে ডিমা হাসাও জেলার মানুষ এখনও যে সচেতন নন কার্যত এমন দৃশ্যই হাফলঙে পরিলক্ষিত হয় সোমবার। সরকারের দেওয়া বিনামূল্যে চাউল সংগ্রহ করতে হাফলং স্টেটফেডে আজ এক অভাবনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। লক ডাউনের সব নিয়ম নীতি অমান্য করে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে চাল নিতে ভিড় করেন অসংখ্য পূরুষ মহিলা হাফলং স্টেটফেডে। এমনকি সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে হাফলঙে অত্যাবশকীয় পন্য সামগ্রীর দোকান ছাড়াও অনান্য দোকান খোলতে দেখা যায় তবে সাংবাদিকদের দেখে এসব দোকান বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি শহরের কিছু স্থানে পানের দোকান ও মটরপার্সের দোকান খোলা থাকতে দেখা যায়। ২০ এপ্রিলের পর কি কি দোকান খোলা থাকবে এনিয়ে এখনও সরকারি ভাবে  কোনও নির্দেশিকা আসেনি। তবে সোমবার হাফলং শহরের দৃশ্য দেখে মনে হয়েছে লক ডাউন নিয়ে সাধারন মানুষ এখনও উদাসীন। সরকারি ভাবে সাধারন নাগরিকদের ঘরে থেকে লক ডাউন মেনে চলার আহ্বান জানানোর পর ও লক ডাউন অমান্য করে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন হাফলং শহরের একাংশ মানুষ। তাই এখনও যদি করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতন না হন সাধারন মানুষ তাহলে আগামী দিনে সংক্রমনের বিপদ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন জেলার সচেতন মহল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.