লকডাউনে অসহায়দের পাশে দাঁড়ালেন আরএসএসের পশ্চিম কাছাড় জেলার স্বয়ংসেবকরা
বি.এম.শুক্লবৈদ্য, বিহাড়া : করোনা মোকাবিলায় লকডাউন পুরো ভারতবর্ষ।
গৃহবন্দি জনতা। নিত এনে নিত খাওয়া লোকরা বিপাকে। নুন আনতে যাদের পান্তা ফুরায়
তাদের সঞ্চয় আর কতটুকু ? মুখে ভাত জোটানই
এখন দায়। অনেকেরই আবার নেই কোন ব্যাঙ্ক একাউন্ট, নেই রেশন কার্ড। সরকারী সহায়তা থেকেও বঞ্চিত
রয়েছেন অনেকে। তবে এমন লোকেদের জন্যই জনসেবার ভাবনা নিয়ে মাঠে নেমেছেন রাষ্ট্রীয়
স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) পশ্চিম কাছাড় জেলার স্বয়ংসেবকরা। আরএসএসের পশ্চিম
কাছাড় জেলার স্বয়ংসেবকরা কাটিগড়া ও বড়খলা বিধানসভার বিভিন্ন গ্রামে বাড়ী
বাড়ী গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন। সোমবার এক সাক্ষাৎকারে
আরএসএসের পশ্চিম কাছাড় জেলার জেলা কার্যবাহ (জেলা সম্পাদক) অভিজিৎ দাস জানান
লকডাউনের পর থেকেই স্বয়ংসেবকরা ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে মাঠে নেমেছে।
এখন পর্যন্ত
পশ্চিম কাছাড় জেলার গুমড়া, কাটিগড়া,
কালাইন, বিহাড়া ও বড়খলার ৭২ টি স্থানে ২২৫৭ টি
পরিবারে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সংঘের বন্টন করা ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে
রয়েছে চাল, ডাল, আলু, তেল, লবন, সাবান ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সামগ্রী। এক প্রশ্নের
উত্তরে জেলা কার্যবাহ জানান যে প্রতিটি গ্রামেই সংঘের শাখা রয়েছে ফলে শাখার
মাধ্যমে খুব সহজেই একেবারে কম সময়ে উপযুক্ত ব্যাক্তিদের কাছে ত্রাণ সামগ্রী
পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। জেলা কার্যবাহ আরো জানান যে, যদি কোনো কারণে লকডাউন বেড়ে যায় তখনও
স্বয়ংসেবকরা মানুষের পাশে থাকবেন। তিনি সবাইকে সরকারী নির্দেশ যথারীতি পালন করা ও
গ্রামে বাহির থেকে নতুন কোন লোক আসলে তা স্বাস্থ্য কর্মীদের জনানোর আগ্রহ প্রকাশ
করেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের এধরণের সেবা কাজকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।










কোন মন্তব্য নেই