Header Ads

৫ এপ্রিল, পঞ্জিকার শুভ নম্বর ৯ মেনে, রাত ৯ টাতে ৯ মিনিট ধরে দীপ জ্বালিয়ে করোনা তাড়ানোর লড়াই



অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : কাঁশর ঘন্টা বা যে কোনও শব্দ ব্যাকটেরিয়া রোধে সহায়ক হয়, তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনা ভাইরাস রোগ নির্মূল করতে যে সব ডাক্তার, নার্স নিয়োজিত তাদের উৎসাহিত করার জন্যে বিকাল ৫ তাই কাঁশর ঘন্টা, থালা, বাজানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। ২২ মার্চ থেকে চলিত লকডাউনের মাঝে ১৫ দিনের মাথায় ৫ এপ্রিল, বাংলায় ২২ চৈত্র শুভ দিন হিসাবে বিবেচিত,  রাত ৯ টাই বাড়ির সব আলো নিভিয়ে,  ব্যালকনি বা দরজার মুখে প্রদীপ, মোমবাতি, টর্চলাইট, মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে ৯ মিনিট ধরে এই আলোর প্রকাশ ঘটিয়ে, চারপাশ উদ্ভাসিত করে অশুভ শক্তিকে পরাভূত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত জ্যোতিষীরাও ভালো লক্ষণ বলে মনে করছেন। ২২ মার্চ রবিবার লক ডাউন শুরু হয়েছিল ৫ এপ্রিল রবিবার রাত ৯ টা ৯ মিনিটে দেশ জুড়ে আলোর প্রকাশ ঘটিয়ে অন্ধকারের বিরুদ্ধে, অপ শক্তির লড়াইয়ে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষ সবকে সামিল হওয়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, পঞ্জিকা মতে ৯ নম্বর সব সময় শুভ, রাত ৯ টা, ৯ মিনিট ধরে আলোর রোশনাই, ১৩০ কোটি মানুষের জ্বালানো তীব্র আলোতে সব ধরনের রোগের জীবাণু ধ্বংস হয়ে যাবে বলে জ্যোতিশিদের অভিমত। পঞ্জিকা মেনে দুবার শুভ নম্বর ৯-কে ব্যাবহার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী দ্বীপ জ্বালানোর পর ভারত মাতাকে স্বরণ করার আর্জি ও জানিয়েছেন। লকডাউনের ফলে দিনের পর দিন ঘরে আবদ্ধ থেকে মানুষ মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে, গরিব শ্রমজীবী মানুষের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারছে না, ৫ এপ্রিল ১৩০ কোটি মানুষের একযোগে জ্বালানো আলোতে আকাশ যখন আলোয় আলোকময় হবে, করোনা বিরোধী লড়াই দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ,  হবে,  একাত্ম্য হবে, বিপর্যস্ত মানুষ দেখবে সারা দেশবাসী তাদের লড়াইয়ের পাশে আছে। ১৩০ কোটি মানুষের জ্বালানো আলোয় অশুভ শক্তির পরাজয় ঘটবে, করোনা জীবাণু ধ্বংস হবে, মা ভবানীর আশীর্বাদে ভারতের জয় হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.