Header Ads

লক ডাউন অমান্য করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে জেলাশাসক, লক ডাউনের সুযোগে চুরি ধৃত ২

 বিপ্লব দেব, হাফলং ২৮ মার্চঃ করোনা ভাইরাস কভিড ১৯ রোগে সমগ্র দেশে এখন আতঙ্কময় পরিবেশ। ভারতে দ্রুত গতিতে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। করোনা ভাইরাস কভিড ১৯ রোগ প্রতিরোধে সমগ্র দেশ জুরে চলছে লক ডাউন। কিন্তু বহু জায়গায় সাধারন নাগরিকরা লক ডাউন অমান্য করে বেরিয়ে পড়ছেন ঘর থেকে অত্যাবশকীয় সামগ্রীর জন্য ভিড় করছেন বাজারে। এমনকি বহু জায়গায় পুলিশের উপর আক্রমনের ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে এত সজাগতা চালানোর পর ও মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে বাজারে ভিড় করছেন। বিশেষ করে ডিমা হাসাও জেলায় লক ডাউনের গত চারদিন এমনই দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।

 লক ডাউন অমান্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জেলাশাসক অমিতাভ রাজখোয়া ঘোষনা করার পরই শনিবার থেকে ডিমা হাসাও পুলিশ এনিয়ে কঠোর অবস্থান নেওয়ার জন্য আজ বাজারে অত্যাবশকীয় সামগ্রী কিনতে বাজারে যাওয়ার পথে অনেকে পুলিশের ঠেঙ্গানী খেয়ে বাড়িতে ফিরে আসতে হয়েছে। শুক্রবার মাইবাং বাজারে লক ডাউন অমান্য করে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর জন্য ভিড় উপচে পড়েছিল। যার ফলে বাধ্য হয়ে পুলিশকে লাঠি চালাতে হয়। এমনকি পুলিশের লাঠির ঘা থেকে বাদ যায়নি দোকানদার পর্যন্ত। তাই শনিবার মাইবাঙে কোনও দোকান পাট খোলে নি। তারমধ্যে লক ডাউনের সুযোগ নিয়ে শুক্রবার রাত মাইবাং বাজারে চোরের দল হানা দিয়ে একটি চালের গোদাম থেকে প্রায় ২০ প্যাকেট চাল চোরি করে নিয়ে যায়। তাছাড়া মাইবাং বাজারে বেশ কয়েকটি দোকানের তালা ভেঙ্গে চোরের দল মূল্য সামগ্রী চোরি করে নিয়ে যায়। সকালে খবর পেয়ে মাইবাং অভিযান চালিয়ে দুই চোরকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি চোরি হওয়া ২০ প্যাকেট চাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এদিকে শনিবার হাফলং শহরে পুলিশ কঠোর হতেই এবার মানুষের ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অনেকের অভিযোগ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সহ ওষুধ কিনতে গিয়ে ও অনেককে হেনস্তা হতে হয়েছে পুলিশের হাতে। কিন্তু লক ডাউনের গত চার দিন ডিমা হাসাও জেলার মানুষ লক ডাউন অমান্য করে বিনা কাজে ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে রাজপথে বেরিয়ে আসার জেরেই শনিবার থেকে ডিমা হাসাও পুলিশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এদিকে হাফলং বাজারে অত্যাবশকীয় সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন হাফলং বাজারে আলু প্রতি কেজি ৫০ টাকা ও কাচা লঙ্কা প্রতি কেজি ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। জনগনের অভিযোগ লক ডাউনের সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অত্যাবশকীয় সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি করছে। এই অবস্থায় বাজারে কালো বাজারি রুখতে জেলাপ্রশাসনকে পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.