Header Ads

সারা দেশে কোভিড -১৯ আক্ৰান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনভাবে বাড়ছে, আক্ৰান্তের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে

নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্কঃ 
দেশে করোনা ভাইরাসে আক্ৰান্তের সংখ্যা ক্ৰমশ বাড়ছে। সারা দেশে লক ডাউন হলেও তৃণমূল পৰ্যায়ের একাংশ মানুষ সরকারের নীতি নিয়ম কিছুই মানছে না। এখনও পৰ্যন্ত করোনা আক্ৰান্তের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়ে গেছে। ফলত প্ৰশাসনের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাজ। দেশে লক ডাউন শনিবার চতুৰ্থ দিনে পা দিল। প্ৰতিষেধক বাজারে আসতে আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে বলে জানা গেছে। বিদেশ থেকে বিমান আসা বন্ধ হয়েছে। এখনও পৰ্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। তবে করোনা মানেই যে মৃত্যু, তা ভুল ভাবছেন অনেকেই। তার কারণ এখনও পৰ্যন্ত করোনা আক্ৰান্ত হয়ে সুস্থ্যও হয়ে উঠেছেন ৭৯ জন। 

করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্ৰান্ত হয়েছে মহারাষ্ট্ৰে। সেখানে আক্ৰান্তের সংখ্যা ১৮০ জন। তারপরেই রয়েছে কেরল। কেরলে ১৪৯ জন আক্ৰান্ত হয়েছে। কেরলের মুখ্যমন্ত্ৰী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন- সন্দেহজনক ব্যক্তিদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে । সংক্ৰমণ ঠেকাতে পরীক্ষা বেশি বেশি করে করা হচ্ছে। ১৬৫ কেস চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ছবি, সৌঃ আন্তৰ্জাল 
সারা দেশে মহারাষ্ট্ৰ, কেরল, কৰ্নাটক, রাজস্থান এবং তেলেঙ্গানা এই পাঁচটি রাজ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্ৰান্ত হয়েছে। শনিবার কেরলের এৰ্নাকুলামে ৬৯ বছর বয়সের এক বৃদ্ধের করোনায় আক্ৰান্ত হয়ে মৃত্যু হয়।  

অসমে এখনও পৰ্যন্ত একজনও করোনা আক্ৰান্ত কেস প্ৰকাশ্যে আসেনি। যেহেতু দেশে ক্ৰমশ করোনা আক্ৰান্তের সংখ্যা বাড়ছে সেদিকে লক্ষ্য রেখে গুয়াহাটির কামাখ্যা স্টেশনে রেলের কেবিনে আইসোলেটেড ওয়াৰ্ড গড়ে তোলা হয়েছে। একেকটি কামরায় ৯ জন করে রোগীর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। প্ৰসঙ্গত, প্ৰত্যেকদিন সারা দেশে বিভিন্ন প্ৰান্তে ১৩৫২৩টি ট্ৰেন চলাচল করে। কিন্তু  নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্ৰমণ ঠেকাতে আগামী ১৪ এপ্ৰিল পৰ্যন্ত সমস্ত ট্ৰেন পরিষেবা স্থগিত রেখেছে ভারতীয় রেল বিভাগ।  করোনা ঠেকাতে বিজেপির সব সাংসদ বিধায়ক ফান্ড থেকে ১ কোটি টাকা এবং এক মাসের বেতন কেন্দ্ৰ সরকারের আরোগ্য নিধিতে দান করবেন। 

উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে মারণ রোগে বিপৰ্যস্ত মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার এবং ত্ৰাণ পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন।   করোনা ভাইরাস থেকে সমাজকে বাঁচাতে বিশ্বের প্ৰায় সব জায়গাতেই জারি হয়েছে লক ডাউন, যার জেরে শ্ৰমিক পৰ্যায়ের লোকজন অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। এই সব মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব জুড়ে ত্ৰাণ কাৰ্যে নামতে সংঘের সমস্ত শাখা কেন্দ্ৰকে ত্ৰাণ কাজে সামিল হতে নিৰ্দেশ দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরপ্ৰদেশ, চেন্নাই, তামিলনাড়ু, দিল্লি, সমেত বিভিন্ন রাজ্যের শাখা কেন্দ্ৰ থেকে ইতিমধ্যেই ত্ৰাণ কাজ চালু হয়েছে।
গোটা দেশে লক ডাউন যাতে কোনওভাবে না ভাঙা হয় তার জন্য কড়া হয়েছে কেন্দ্ৰ। প্ৰয়োজনে আধা সামরিক বাহিনীও রাস্তায় নামাতে রাজ্যগুলিকে নিৰ্দেশ দিয়েছে কেন্দ্ৰ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.