Header Ads

করোনা আক্রান্ত রাজ্য থেকে ফিরে আসা বেশ কিছু সন্দেহ জনক ব্যক্তির ঘর সিল করে দিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন করে ডিমা হাসাও জেলাপ্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ

বিপ্লব দেব, হাফলংঃ ডিমা হাসাও জেলায় ইতিমধ্যে যে সকল ব্যক্তি ভিন রাজ্য থেকে নিজের গৃহ জেলায় ফিরে এসেছেন ওই সব ব্যক্তিদের শনিবার ডিমা হাসাও জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে স্টাম্পিং করা হয়। তাছাড়া ভিন রাজ্য থেকে ফিরে আসা অনেকের ঘর সিল করে স্টাম সেটে দিয়ে এদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। যাত্রী তালিকা দেখে করোনা আক্রান্ত রাজ্য থেকে নিজের গৃহ জেলায় ফিরে আসা বেশ কিছু সন্দেহ জনক ব্যক্তির বাড়ি শনিবার জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ সিল করে দিয়ে এদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। 

ডিমা হাসাও জেলার জেলাশাসক অমিতাভ রাজখোয়া জানিয়েছেন এখন পর্যন্ত ভিন রাজ্য থেকে মোট ৩৫৭ নিজ গৃহ জেলা ডিমা হাসাওয়ে ফিরে এসেছেন এবং এদের সবাইর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে যাত্রী তালিকা দেখে করোনা আক্রান্ত রাজ্য থেকে ফিরে আসা কিছু সন্দেহ জনক ব্যক্তির ঘর সিল করে এদের তীক্ষ্ণ নজরে হোম কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। গত ২৩ মার্চ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে হাফলং সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হওয়া রেল কর্মচারীর রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য শিলচর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তবে ওই রেল কর্মচারীর রক্ত পরীক্ষার পর জানা গেছে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট নিগেটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপার ডঃ কল্পনা কেম্প্রাই।     এদিকে লক ডাউনের চারদিনের মধ্যেই দরিদ্র সীমার নীচে বসবাস রত দিনমুজুর অনেকের ঘরে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অনেকের চাল ডাল নেই। এই অবস্থায় উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের সিইএম দেবোলাল গার্লোসা দরিদ্র সীমার নীচে বসবাসরত পরিবারকে বিনামূল্য চাল দেওয়ার কথা ঘোষনা করেন। শনিবার সিইএম এনিয়ে খাদ্য ও অসামরিক বিভাগকে পদক্ষেপ গ্রহন করার নির্দেশ দিয়েছেন। দেবোলল গার্লোসা দরিদ্র সীমার নীচে বসবাস রত পরিবার গুলিকে বিনামূল্যে চাল দেওয়ার জন্য চাল নিয়ে আসা হয়েছে। ওই পরিবার গুলি জেলার সংশ্লিষ্ট কো-পারেটিভ ও ফেয়ার প্রাইস দোকান থেকে চাল সংগ্রহ করতে পারবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.