Header Ads

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় যুদ্ধগতিতে হাসপাতাল নির্মাণের কাজ চলছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ ডিব্রুগড়ে ২৭টি নার্সিং হোমের সঙ্গে চুক্তি করলেন, কাল শিলচরে করবেন, লকডাউন অম্যান্যকারীদের বরদাস্ত করবো না, হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর


অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : অসমের স্বাস্থ্য বিভাগ যুদ্ধের গতিতে নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় কাজ করে চলেছে। গতকাল গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহ টি হাসপাতালের রোগীদের ৩৩ বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিং হোমে স্থানান্তর করার সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছিল, রোগী স্থানান্তরের কাজ আজ থেকেই শুরু হয়ে গেছে। ১২, ১৫ ঘন্টার ব্যাবধানে আজ উজান অসমের প্রধান কেন্দ্র ডিব্রুগড়ের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রুগীদের বেসরকারি হাসপাতাল নার্সিং হোমে স্থানান্তরের জন্যে ২৭টি হাসপাতালের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তিতে উপনীত হলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। আর ১২ ঘন্টা বাদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা শিলচর ছুটে গিয়ে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রুগী স্থানান্তরিত করার জন্যে বেশ কয়েকটি নার্সিং হোমের সঙ্গে চুক্তি করবেন বলে জানা গেছে। আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডিব্রুগড়ে এল এন্ড টি-র মডেলের নতুন ৩০০ বেডের হাসপাতাল গড়ার জন্যে জমিও দেখেন, কাল শিলচরে প্রস্তাবিত নতুন মডেলের হাসপাতালের জন্যে জমির খোঁজ করতে পারেন। এই ধরনের টি হাসপাতাল দু-মাসের মধ্যে নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হবে। ১৫০০ বেডের টি হাসপাতাল এবং সরুসোজাই স্টেডিযাম দ্রুতগতিতে হাজার বেডের হাসপাতাল নির্মাণ এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে। গুয়াহাটির নেহরু স্টেডিয়াম এবং কাহিলিপাড়ার ক্রিকেট স্টেডিয়াম কেউ রেডি করা হবে। ১০, ১১ টি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল কলেজ, হাসপাতালকে সম্পূর্ণভাবে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের জন্যও কয়রেন্টিনের জন্যে রিজার্ভ করে রাখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ১০, ১৫ হাজার বেডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ জানান,  আজ পর্যন্ত টি পজিটিভ কেস না পেলেও সরকার সব সময় রেডি আছে যে কোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্যে। রাজ্যের একাংশ মানুষ লকডাউন অম্যান্য করছে, আজ বঙ্গাইগাঁও, চাপর অঞ্চলে জোর করে দোকানপাট খুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়, পুলিশকে লাঠি চার্জ করতে হয়, শুন্যে গুলিও চালাতে হয়, পুলিশকে লক্ষ্য করে উন্মত্ত জনতা ইট পাটকেল ছোড়ে বলে অভিযোগ এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল আজ গোলাঘট ও ডিফুতে অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকের সময় লকডাউন অমান্য করার ঘটনায় ক্ষোভ করে বলেন, এজিনিস বরদাস্ত করা হবে না। তিনি করজোড়ে রাজ্যের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, নিজের পরিবারকে বাঁচাতে ঘরে থাকুন, দেশের প্রতি মানবিক দায়িত্ব পালন করুন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মুরগির জন্যে লাইনে দাঁড়াবেন না। চাল-ডালের জন্যে দাঁড়ান। লকডাউন আর কারফিউ-এর মধ্যে বেশি ফারাক নেই। সরকার আজ আবার জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা অনুযায়ী লকডাউন না মানলে জেল জরিমানা দুটোই হবে। সরকার রিক্সাওয়ালা, ঠেলাওয়ালা, দিন মজুরি করা সহ অন্যান্য গরিব মানুষদেরকে এস ডি আর এফ ম্যানুয়াল মেনে দিন খাদ্য সামগ্রী দেবার নির্দেশ দিয়েছেন ডেপুটি কমিশনারদের।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.