Header Ads

করোনা সংক্ৰমণ ঠেকাতে সারা দেশে আগামী ২১ দিন পৰ্যন্ত লকডাউন ঘোষণা প্ৰধানমন্ত্ৰীর

নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্ক, ২৪ মাৰ্চঃ

 দেশ জুড়ে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্ৰান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার দ্বিতীয়বার ভাষণ দিলেন প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী।  ২২ মাৰ্চ গত রবিবার জনতা কাৰ্ফুকে ভারতবাসী সফল করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্ৰধানমন্ত্ৰী। তিনি বলেন-  দেশে যখন কোনও সংকট আসে সবাই একত্ৰ হয়ে কিভাবে লড়তে হয় তা দেখিয়ে দিয়েছে দেশবাসী। যেভাবে করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তার মোকাবিলার পথ একমাত্ৰ সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং। নিজের ঘরেই থাকা। বৰ্তমানে এ ছাড়া আর কোনও পথ নেই। মারণ এই ভাইরাসের সংক্ৰমণের সাইকেলকে ভাঙতে হবে। একাংশ মানুষ ভাবছেন সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং শুধু করোনা আক্ৰান্ত রোগীদের প্ৰয়োজন। এই ভাবনা সঠিক নয়। একাংশ মানুষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা আপনার সন্তান, মা বাবা পরিবারের সদস্য, এরপর গোটা দেশকে বড় বিপদে ফেলতে পারে। এইভাবে চলতে থাকলে ভারতকে অনেক বড় ক্ষতিয়ান দিতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন করা হয়েছে। দেশের সব রাজ্য সরকারের বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। মঙ্গলবার রাত ১২ টা থেকে গোটা দেশে লক ডাউন করার ঘোষণ করেছেন প্ৰধানমন্ত্ৰী।
 ছবি, সৌঃ ইন্টারনেট

হিন্দুস্তানবাসীকে বাঁচাতে ঘর থেকে বাইরে বেরোনোর ক্ষেত্ৰে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্ৰান্তের অলি গলি সমস্ত লকডাউন করা হবে। জনতা কাৰ্ফু-থেকেও কড়া করা হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ খুবই জরুরি। এর জন্য দেশের অনেক আৰ্থিক ক্ষতি হবে। দেশবাসীর জীবন বাঁচাতে কেন্দ্ৰ সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূৰ্ণ। দেশের যেখানেই যারা রয়েছেন তাদের সেখানেই থাকার আবেদন করেছেন প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী। ৩ সপ্তাহের জন্য লকডাউন করা হয়েছে। তিনি বলেন- আগামী ২১ দিন প্ৰত্যেক ভারতীয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূৰ্ণ সময়। তা না হলে দেশ এবং আপনার পরিবার ২১ বছর পিছিয়ে যাবে । বহু পরিবার শেষ হয়ে যাবে। একজন প্ৰধানমন্ত্ৰী হিসেবে নয়, পরিবারের সদস্য হিসেবে বলছি বলে উল্লেখ করেন মোদী।

পাশাপাশি ঘরের ভিতরে থাকার কথা উল্লেখ করে মোদী বলেন- কারোও একটি পদক্ষেপ করোনার মতো মহামারি ডেকে নিয়ে আসবে। কখনও কখনও কেউ সংক্ৰমিত হলে বাইরে থেকে বোঝা যায় না। সেজন্য ঘরে থাকার পরামৰ্শ দিয়েছেন প্ৰধানমন্ত্ৰী। ব্যানার দেখিয়ে বলেন, করোনা অৰ্থাৎ ‘কোয়ি রোড পর না নিকলে।’ বিশ্লেষকরা বলছেন- কেউ করোনা আক্ৰান্ত হলে তার শরীরে উপসৰ্গ দেখা দিতে বেশ কিছু দিন লেগে যায় । এক ব্যক্তি এক সপ্তাহে হাজার হাজার মানুষের শরীরে সংক্ৰমণ ছড়াতে পারে। দেশে করোনা ভাইরাস সংক্ৰমিত হতে ৬৭ দিন লেগে যায় এরপর  শুমাত্ৰ ১১ দিনেই ২লক্ষ নতুন মানুষ সংক্ৰমিত হয়ে যায়। ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ পৰ্যন্ত পৌঁছছে শুধুমাত্ৰ ৪ দিন সময় লাগে। ভারতের মতো দেশে একবার এই ভাইরাস ছড়ানো শুরু করলে এটি ঠেকানো কঠিন হয়ে যাবে। ফ্ৰান্স, জাৰ্মানি, ইতালি, আমেরিকার মতো দেশে হাসপাতাল এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা সারা বিশ্বের মধ্যে উন্নত।  তা সত্ত্বেও এই দেশগুলি করোনার প্ৰভাব কমাতে পারেনি। এখন প্ৰশ্ন এই পরিস্থিতিতে বিকল্প পথ কি? সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে এই দেশগুলির নাগরিক ঘর থেকে বেড় হয়নি। সরকারী নিৰ্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। আমাদের দেশেও সকলকেই ঘরে থাকার পন্থা মেনে চলতেই হবে। যা কিছু হোক ঘর থেকে বেড়নো যাবে না। সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মেনে চলতে হবে। মহামারী ভাইরাসের সংক্ৰমণ ঠেকাতে হবে। চেন ভাঙতে হবে। ভারত বৰ্তমানে এমন স্টেজে রয়েছে এই সময় আমাদের সংকল্পকে মজবুত করার সময়। প্ৰতিটি পদক্ষেপে সংযম রাখতে হবে। বৰ্তমানে ধৈৰ্য এবং অনুশাসনের মুহূৰ্ত চলছে। তিনি বলেন- ‘জান হ্যায় তো জাহান হ্যায়।’ তাদের জন্য প্ৰাৰ্থনা করা হোক যারা করোনা আক্ৰান্ত রোগীদের সুস্থ করতে নিজেদের প্ৰাণ ঝুকির মধ্যে ফেলেছেন। হাসপাতাল প্ৰশাসনের লোক, অ্যাম্বুল্যাসের চালক, ওয়াৰ্ড বয়, সাফাই কৰ্মী যারা সাৰ্বজনীন কাজের সঙ্গে জুড়ে রয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমের কৰ্মী, পুলিশ কৰ্মীদের কথা উল্লেখ করেন। যারা সাধারণ মানুষের প্ৰাণ বাঁচাতে দিন রাত এক করে কাজ করে চলেছেন। কেন্দ্ৰ এবং রাজ্য সরকার এ নিয়ে নিরন্তর প্ৰয়োজনীয় সমস্ত চেষ্টা করে চলেছে। প্ৰয়োজনীয় সামগ্ৰী পাওয়া যাবে। সিভিল সোসাইটির লোকজন গরীবদের সাহায্যৰ্থে সবাই চেষ্টা করছে। জীবন বাাঁচাতে যা জরুরী তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেই হবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের শলা পরামৰ্শ নেওয়া হচ্ছে। দেশের পরিকাঠানো আরও মজবুত করতে ১৫ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্ৰ সরকারের তরফে বরাদ্দ করা হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে আইসিইউ বেড সমেত অন্যান্য সমস্ত জরুরি ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি মেডিক্যাল চিকিৎসা সংক্ৰান্ত প্ৰশিক্ষণ ও দেওয়া হবে।  বেসরকারী ল্যাব, হাসপাতাল সবাই এই জরুরিকালিন সময়ে সরকারের সঙ্গে মিলে কাজ করতে এগিয়ে এসেছে। সাধারণ মানুষকে কোনও ধরনের রিউমার এবং অন্ধবিশ্বাসের কবলে না পরার পরামৰ্শ দিয়েছেন প্ৰধানমন্ত্ৰী। চিকিৎসকের পরামৰ্শ ছাড়া কোনও ওষুধ যেন না নেওয়া হয়।  জীবন এবং পরিবারের সুরক্ষার দেশবাসীর সহযোগিতা আহ্বান করেছেন প্ৰধানমন্ত্ৰী।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.