অসমে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত ত্রিশ হাজার, বাঁচে পঞ্চাশ শতাংশ
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : অসমে প্রতিবছর ত্রিশ হাজার ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত
হচ্ছে। আজ বিধানসভায় জিরো আওয়ারে জাকির হোসেন সিকদার সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের
উদ্ধৃতি দিয়ে জানান,
প্রতি
বছর অসমে ত্রিশ হাজার মানুষ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। উত্তরপূর্বাঞ্চলে
ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ হাজার। অসমের মানুষ ক্যান্সার রোগ নিয়ে সচেতন
নয়। সজাগতার অভাব আছে। স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিমন্ত্রী পিযুষ হাজরিকা সিকদারের
তথ্য স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ত্রিশ হাজার করে মানুষ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
তার মধ্যে ৫০ শতাংশকে বাঁচানো যাচ্ছে। তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য এবং অন্যান্য
অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে অসমে এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটছে। এছাড়া, শারীরিক অনুশীলনের প্রয়োজন
আছে। এর আগে অগপর পবিন্দ্ৰ ডেকার এক প্রশ্নের জবাবে সরকার ক্যান্সার রোগ নিয়ে
বিস্তারিত জানিয়েছে। তিনি জানান, রাজ্যের ৮টি মেডিক্যাল কলেজে ক্যান্সার রোগ নিরাময়ের
ব্যবস্থা আছে। গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ, শিলচর মেডিক্যাল কলেজ, ডিব্ৰুগড় মেডিক্যাল
কলেজ প্রভৃতি কলেজে এই মারণ রোগ চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। তিনি তার লণ্ডন সফরের
অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, সেখানে এক চর্ম রুগীর ডাক্তারের কাছে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট
নেওয়ার জন্য ৯ মাস সময় লেগেছে। সেকথা জানিয়ে তিনি বলেন, অসম অনেক উন্নত। টাটার সঙ্গে
সমঝোতা করে অসমে ১৮টি ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে কাজ চলছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজ শুরু হবে। তিনি জানান অটল অমৃত যোজনা, প্রধান মন্ত্রীর
জনস্বাস্থ্য যোজনা গ্রহণ করার ফলে অসমের ক্যান্সার রোগীদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার
পথ সুগম হয়েছে। ক্যান্সার রুগীদের পাঁচ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া
হচ্ছে। কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ মন্ত্রীকে জানান, অসমে মধ্যে ক্যান্সার রুগির সংখ্যা বরাকে সব থেকে
বেশি, তিনি বেসরকারি শিলচর
ক্যান্সার হাসপাতালের পদ্মশ্রী পাওয়া ডাক্তার কান্ননের কথা উল্লেখ করে বলেন, বুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল
সেন্টার শিলচর ক্যান্সার হাসপাতালকে অত্যাধুনিক করার প্রস্তাব দিয়েছে। মন্ত্রী
জবাবে বলেন,
তারাও
শিলচর ক্যান্সার হাসপাতালের কথা জানে, ভবিষ্যতে হাসপাতালটিকে অত্যাধুনিকভাবে গড়ে তোলার কথা
চেষ্টা করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই