Header Ads

অসমের জমিতে মেঘালয়ের আগ্রাসন



অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : আজ বিধানসভায় অসম-মেঘালয় সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। বিধানসভায় জিরো আওয়ারেঅসমের জমিতে মেঘালয়ের আগ্রাসনশীর্ষক এক খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে অগপর রমেন্দ্র নারায়ণ কলিতা বলেন, কামরূপ গ্রামীণ জেলার বকো থানার অন্তর্গত লাম্পা অঞ্চলে অসম-মেঘালয় সীমান্তে মেঘালয় সরকার জল, বিদ্যুৎ প্রভৃতি উন্নয়ন মূলক কাজ করেছে। অসম সীমান্তে মেঘালয়ের মানুষের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। অসমের সীমান্তবর্তী লাম্পা অঞ্চলে অসম সরকার কোনো উন্নয়ন মূলক কাজ করেনি। অঞ্চলের মানুষের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। অসম বিধানসভায় অরুণাচল প্রদেশ এবং নাগাল্যান্ড সীমান্ত সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সরকার যদি অসমের সীমান্ত অঞ্চলে গভীর বনাঞ্চলের সৃষ্টি করে সংরক্ষিত ঘোষণা করে তবে মেঘালয়ের আগ্রাসন কমবে। অধ্যক্ষ হিতেন্দ্র নাথ গোস্বামী বলেন, এই লাম্পা অঞ্চলে দীর্ঘদিন থেকে সীমান্ত সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এর জবাবে পরিষদীয় মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী বলেন, কামরূপ জেলার বকো থানার অন্তর্গত লাম্পি, উমলি, হর্ষনগর গ্রামেঅসম সরকার সীমান্ত সুরক্ষায় এবং অন্যান্য বিভাগ সীমান্ত চৌকি নীরিক্ষণের কাজ করছে। তা দেখতে ১৯ ফেব্রুয়ারি কামরূপ জেলার অফিসাররা সেখানে যায়। সেখানে মেঘালয়ের বাসিন্দারা এই কাজে বাধা দেয়, তা মেঘালয় সীমানার অন্তর্গত বলে দাবি জানান। তখন অসমের অফিসাররা সীমার মানচিত্র দেখানোর পর তারা মেনে নেয়। কিন্তু সেখানে মেঘালয়ের ২৪ জন পুলিশ অসম সীমান্তে এক ব্যক্তিগত মিশনারী স্কুলে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। সেই স্থানের পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য কামরূপ জেলার ডেপুটি কমিশনার মেঘালয়ের খাসিয়া জেলার ডেপুটি কমিশনার এবং পদস্থ পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা করে অসম সীমান্ত থেকে পুলিশ পিকেট তুলে নেওয়ার আর্জি জানায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.