Header Ads

লকেটের এক কোটি করোনা মোকাবিলায়! সাংসদ কোটার টাকা জেলা প্রশাসনকে !!

 বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়

করোনা আতঙ্কে যখন গোটা পৃথিবী ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জের মুখে, আমাদের রাজ্যে বাংলাও বাদ যায়নি সেই মারীভয় থেকে। এই পরিস্থিতিতে দলমত নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও এই মর্মে মানবিক মুখ হয়ে এগিয়ে এলেন।

করোনা মোকাবিলায় রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তথা হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় নিজের সংসদ কোটা থেকে এক কোটি টাকা হুগলির জেলাশাসকের হাতে তুলে দেন। মঙ্গলবার সকালে হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাওকে চিঠি দিয়ে এ কথা জানান লকেট চট্টোপাধ্যায়। মেলের মাধ্যমে তিনি এই চিঠি পাঠান জেলাশাসককে।
এরপর এক ভিডিও বার্তায় লকেট জানান, আমি আমার সাংসদ কোটা থেকে এক কোটি টাকা জেলা প্রশাসনকে দিয়েছি। আমি জানি না কখন কোন জায়গায় টাকার দরকার হবে। তাই এই টাকা খরচের বিষয়টি পুরোটাই জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দিলাম। আমি এই মুহূর্তে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আছি।
গরিব ও শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি আরও বলেন, আমার সাংসদ ক্ষেত্রে বহু গরিব ও শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন। তাঁরা যাতে খাবার ও চিকিৎসা পান, তা দেখা দরকার। আমি যে টাকা দিয়েছি তা জেলা প্রশাসন আক্রান্তদের জন্য খরচ করতে পারে। জেলাশাসক যেখানে ভালো মনে করবেন, সেখানেই এই টাকা খরচ করতে পারেন।
সকলে বাড়িতে থাকুন, সুস্থ থাকুন হুগলির সাংসদ আরও বলেন, এই অবস্থায় সকলে বাড়িতে থাকুন, সুস্থ থাকুন। কেউ এমন ভুল করবেন না, যা নিজের, পরিবারের ও সমাজের জন্য মারাত্মক হয়ে ওঠে। একটা ভুলের অনেক খেসারত দিতে হতে পারে। এখন রাজনীতি নয়, সময় এসেছে সবাই মিলে দেশ রক্ষার কাজ করার।
অন্যদিকে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতোও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি পুরুলিয়া জেলাশাসককে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। করোনার চিকিৎসা ও মোকাবিলা করার জন্য এই টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও টাকা তিনি দেবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া সাংসদ নিশীথ প্রমাণিক, সুকান্ত মজুমদার, সৌমিত্র খাঁ, রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.