লকডাউনের আজ চতুর্থ দিনে লামডিঙে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে
স্বপন দাস, লামডিং : কথায় বলে মানুষ
পরিস্তিতির দাস এমনি দেখা গেল রেল শহর লামডিংঙে। লকডাউনের আজ চতুর্থ দিনে সকাল থেকে মানুষ ঘড় থেকে
বের হয়েছে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজকর্ম নিয়ে। সকলেই
সতর্ক। এই ভয়াভয় রোগ সমন্ধে সবাই যেন কিছু কিছু বুঝতে পেরেছেন। সকলেই নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় চলাফেরা করছে। রাস্তায় বাইক নিয়ে চলেফেরা ছিল তুলনামূলকভাবে কম। ফোনে ফোনেই একে অপরের খোজ-খবর নিচ্ছেন অনেকেই। সব্জি বাজার বন্ধ ছিল যদিও অনেক সব্জি বিক্রেতাকে পাড়ায় পাড়ায় সব্জি বিক্রি করতে দেখা গেছে। লামডিঙে এমপ্লোয়িজ ইউনিয়নের পক্ষ থেকে গাড়ি করে পাড়ায়
পাড়ায় সুলভমূল্যে সব্জি পৌঁছে দিচ্ছেন। নেতৃত্বে ছিলেন সম্পাদক রনয় দাস। লামডিঙ পুরসভার উপ-সভাপতি উত্তম দাসের নেতৃত্বে বিভিন্ন অঞ্চলে সুলভমূল্যে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ঘড়ে ঘড়ে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উত্তর লামডিঙ অভয় সঙ্ঘের সদস্যরা ঘুড়ে ঘুড়ে
দরিদ্রদের ভাত-ডাল, সব্জি-ভাজা ইত্যাদি বিতরন করছেন। নেতৃত্বে ছিলেন সহদেব দেবনাথ।
এদিকে, হোজাই জেলার সদর দপ্তর শংকর নগরে প্রতিদিন প্রধানদেরকে নিয়ে সভা করছেন হোজাই জেলা উপায়ুক্ত ডঃ ছাদনেক সিং। তিনি প্রতিটি বিষয়ে
খোজখবর নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। জেলার অতিরিক্ত উপায়ুক্ত
প্রশান্ত বরুয়া প্রেসকে জানান, প্রশাসন প্রতিনিয়ত খোজ খবর রেখে চলছে যাতে জনগণ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহজেই পেতে পারে তা সুনিশ্চিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। অঞ্চলের খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পেতে পারে তা শুনিশ্চিত করার
জন্য গাড়ী ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতিও নজর রাখা
হয়েছে বলে তিনি জানান। এদিকে, প্রতিজন ব্যবসায়িকে তাদের সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় আই-কার্ডের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। জেলার প্রতিটি হাসপাতালে প্রর্যাপ্ত পরিমাণে ঔষুধ রয়েছে এবং ডাক্তর, নার্স এবং ষ্টাফরা কাজ করে যাচ্ছেন বলেও তিনি জানানা। জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের ভয়াভয়তার কথা
মনে রেখে জেলার ৯১০ জনকে নিজ গৃহে বিশেষভাবে রাখা হয়েছে। এছাড়াও জেলার তিনটি চক্র হোজাই, ডবকা এবং লংকা চক্রে তিনজন অতিরিক্ত উপায়ুক্তকে
পর্যায়ক্রমে জোনেল প্রধান হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে। হোজাই চক্রে পঙ্কজ ডেকা, ডবকা চক্রে গৌরিশঙ্কর দাস এবং লংকা চক্রের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে প্রশান্ত বরুয়াকে। এদিকে, লামডিঙের প্রশাসন সহ লামডিঙ প্রেসক্লাব এবং বিভিন্ন সংগঠনের তরফ
থেকে জনগণের কাছে আবেদন করছেন নিজের, নিজ পরিবার, সমাজের সকলের সূ-স্বাস্থের কথা মাথায় রেখে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানান।
কোন মন্তব্য নেই