করোনা জীবাণু আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির সৎকার কি ভাবে হবে সেকথাও ভেবে রেখেছেন সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : রাজ্যের মুখ্যসচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণের এক
আদেশের বিরোধিতা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বলেন, এখন করোনার আতঙ্কে
রাজ্যের মানুষ ভুগছে আর মুখ্যসচিব বলছেন বিস্কুট, ব্রেড, আটা, চাউমিন, মিনারেল জল
উৎপাদন করার জন্যে অনুমতি দেওয়া হবে। মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা ক্ষোভ প্রকাশ করে
বলেন, এই সময় কেউ মিনারেল ওয়াটার, নুডুলস খাবে নাকি? লকডাউন উপেক্ষা করে বাজারে মাছ, মাংস, দোকানে
লাইন দেওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই সময় ২১ দিন ঘরে বসে আলু সেদ্ধ ডাল ভাত খেতে লাগে। বলেন, আমাদের মানসিকতা খারাপ
হয়ে গেছে। রাজ্যে যখন কা বিরোধী আন্দোলন চলছিল, তখন কি কেউ দোকান খুলে মাছ বিক্রি করার কথা
ভাবতে পেরেছিল? করোনা ভাইরাস অদৃশ্য শত্রু যে কোনো সময় আমরা
আক্রান্ত হতে পারি, আমার মা, তোমাদের মা
আক্রান্ত হতে পারে, আমরা কয়রেন্টিন, ডাক্তার নার্স এমন কি এই
মারাত্বক রোগে সংক্রামিত হয়ে মৃত ব্যক্তির কি করে সৎকার করা হবে সে কথাও ভাবছি।
সংক্রিমিট মৃতদেহ কে বহন করবে, বহনকারীদের, গাড়ির চালক কে ১৪ দিন কয়রেন্টিনে রাখার কোথাও ভেবে রেখেছি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ১৪ এপ্রিল পৰ্যন্ত লকডাউন করতে বলেছেন, আমার মনে হয় ৯ এপ্রিল সব ঠিক হয়ে যেতে
পারে। আজ এক টি ভি চ্যানেলে করোনা ভাইরাস নিয়ে এক আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা
বলেন।
কোন মন্তব্য নেই