Header Ads

অসমে করোনা সংক্ৰমণ ঠেকাতে লড়াই চালিয়ে যেতে হবেঃ মন্তব্য রাজ্য স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মার, রাজ্যে সব দোকান পাটে সাবান জল, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক কড়া রাজ্য স্বাস্থ্য মন্ত্ৰক

 অমল গুপ্ত,  গুয়াহাটি

বিশ্বের সৰ্বত্ৰ এখন করোনা ভাইরাসের সন্ত্ৰাস। অসমে করোনা ভাইরাসের সংক্ৰমণ ঠেকাতে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা। তিনি জানান- করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্যে শিলচরকেও  স্বীকৃত (Accredited)সেন্টার হিসাবে গড়ে তুলে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতাল, লাওহাল এবং ডিব্রুগড় মেডিক্যাল হাসপাতালে এ পৰ্যন্ত ৫৭ জনের স্বাস্থ্যের নমুনা পরীক্ষা করা হয়,সব নেগেটিভ এসেছে। এখনও পৰ্যন্ত অসমের ভাগ্য ভাল, এক জনের ক্ষেত্রেও পজিটিভ ধরা পড়েনি। শুক্ৰবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা  সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান। জনতা ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, এক হাজার তিন জনকে হোম কোয়ারিন্টাইনে রাখা  হয়েছে। ৪০ দিন নানা নিয়মনীতি মেনে নিজের বাড়িতে থাকতে হবে। যা সরকারের নজরে থাকবে। এক হাজার তিন জনের মধ্যে প্রাথমিকভাবে রোগের নমুনা পরীক্ষার জন্য ৪১ জনকে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬০ জন হোম থেকে বাইরে বেড়িয়েছে। রাজ্যের বিমানবন্দর গুলোতে ১৬ হাজার ৫০৮ জনকে থাৰ্মাল স্ক্যানিং টেস্ট করা হয়েছে। ৬২ হাজার ৮৮০ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। বিদেশ থেকে যারা এসেছে তাদের ১৪ দিন হোম কোয়ারিন্টাইনে রাখা হয়েছে, তবে প্রাথমিক লক্ষণ থাকা ব্যাক্তিদের কেবল হাস্পাতালের আইসোলেশন বেডে রাখা হয়েছে।

ছবি, সৌঃ আন্তৰ্জাল
 করোনা ভাইরাস এখন স্টেজ  ওয়ানে আছে কমিউনিটিকে গ্রাস করেনি বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী জানান আগামী ২২ তারিখ থেকে ১৪ দিন হবে কঠিন সময়, এই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এই কোভিড ১৯ ভাইরাস চেন সিস্টেমে বেড়ে চলেছে,বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা অসমের মানুষ প্রায় ফিরে এসেছে, বাইরের বিমান আসছে না, তাই সংক্রমিত হয়ে আর বিদেশের মানুষ অসমের আসার সম্ভবনা কম। তবেও সব ধরনের সতর্কতামূলক বাবস্থা গ্রহণ করতেই হবে। গুয়াহাটির ফেন্সি বাজার, হাতিগাঁও, প্রভৃতি জনবহুল এলাকাকে নজর রাখা হচ্ছে, রাজ্যের সব  দোকানদার ছোটখাট ব্যবসায়ীকে দোকানের সামনে সাবান জলের, স্যানিটাইজার ব্যবস্থা রাখতেই হবে। না করলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে।  জনবহুল এলাকার ভিড় না কমলে দোকান পাট বন্ধ করে দেবে সরকার এমন কথাও জানালেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। 

সরকারি অফিসে কর্মচারীদের গ্রেড অনুযায়ী সরকার অফিসে আধা কর্মচারী উপস্থিত থাকতে হবে। বাকি কর্মচারীদের ঘরে বসে কাজ করতে হবে। বিটিসি নির্বাচন হবে কিনা তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ঠিক করবেন। মাধ্যমিক সহ সব পরীক্ষা ৩১ মার্চ পৰ্যন্ত বন্ধ থাকবে। অসমের যে সব ছাত্র বা কোন ব্যক্তি কোন প্রশিক্ষণ বা অন্য কারণে বিদেশে সাময়িকভাবে আছে,নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন তাদের সরকার ২ হাজার ডলার করে আর্থিক সাহায্য দেবে সরকার। অমিতাভ বচ্চনের এক ছবি দেখিয়ে জানান যারা হোম কোয়রিন্টাইনে আছে তাদের সরকার নির্দিষ্ট করে তাদের ছবির পাশে স্ট্যাম্প মেরে দেবে, তাতে লেখা থাকবে আসাম নিডস সোস্যাল ডিসস্টেন্স। ১৪ এপ্রিল পৰ্যন্ত থাকতে হবে, অমিতাভ বচ্চন বর্তমানে আছেন।   এই সংক্রামককে মানবতার বড় সংকট বলে আখ্যা দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান গো মূত্র বা যোগ্যাভাস এই মারণ রোগের প্রতিষেধক নয়। শরীরের ইমিইউনিটি বাড়াতে হবে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলছেন, ক্লেরোকুইন খেলে নাকি এই রোগ হবে না। মন্ত্রী স্বাস্থ্য বিভাগের সব স্তরের কর্মী, আশা কর্মী, ডাক্তার অঙ্গনবাদী কর্মী প্রভৃতি সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে এই মানবতার সংকটের সময়  সকলকে সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.