গোয়ালপাড়ার ৩০০০ বেডের ডিটেনশন ক্যাম্পকে করোনা ভাইরাস হাসপাতালে রূপান্তরিত করার জন্য মানবাধিকার সংগঠন সি জে পি -র আবেদন
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : রাজ্যের সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব
শর্মা রাতদিন ঘুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চিকিৎসার জন্য পাগলের মত হাসপাতালে, বেসরকারি নার্সিং হোমে বেড খুঁজে বেড়াচ্ছেন, শিলচর, ডিব্রুগড়ের পর
আজ নিম্ন অসমে সিংঘিমারী হাসপাতাল পরিদর্শন করে ২০ টি আই সি ইউ সহ ৫০ টি বেডের
ব্যবস্থা করেন। তিনটি স্টেডিয়াম, সরকারি হাসপাতাল
নিয়ে ৫০০০ বেডের ব্যবস্থা করেছেন বলে আজ জানিয়েছেন। তিনি জানান, আজ পর্যন্ত ৪৩০ জনের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে, সবকটি নেগেটিভ, একটিও পজিটিভ কেস
নেই। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল আজ বংগাইগাঁও হাসপাতালে গিয়ে করোনা ভাইরাস রোগের
সম্ভাব্য চিকিৎসা সম্পর্কে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন। এই রোগ নিরাময়ে ডাক্তার নার্স থেকে শুরু করে সাফাই কর্মীদের ভূমিকার ভূয়সী প্রসংসা
করেন। দেশের অন্যতম মানবাধিকার সংস্থা সিটিজেন্স ফর জাস্টিস এন্ড পিস-এর পক্ষ থেকে
আজ অসম সরকারের কাছে আবেদন করে, গোয়ালপাড়া জেলার
মাটিয়াতে নির্মিত ডিটেনশন ক্যাম্পটি করোনা ভাইরাস রোগ উপশমের স্থানান্তরের জন্য আর্জি
জানিয়েছে। বিশিষ্ট মানবতাবাদী তিস্তা শিতালাবাদের সি জে পি-র অসম রাজ্য সমন্বয়ক জামসের
আলী আজ রাজ্য সরকারকে একটি পত্র দিয়ে এই আর্জি জানান। তিনি আজ এই প্রতিবেদককে একথা
জানিয়ে বলেন, তারা অসম সরকারকে বলেছে
গোয়ালপাড়ার মাটিয়াতে একটি পৃথক এলাকাতে ৩০০০ বেডের ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ চিকিৎসার একটি আদর্শ জাইগা, তিনি অভিযোগ করেন বর্তমানে ডিটেনশন
ক্যাম্পগুলিতে অধিকাংশ ভারতীয় নাগরিক, তাদের নথিপত্র
ভালো করে পরীক্ষা না করে, সম্পূর্ণ
ষড়যন্ত্র করে বাঙালি হিন্দু মুসলিম সংখ্যালঘুদের বাংলাদেশি সাজানো হয়েছে। ২৯ জন
ডিটেনশন ক্যাম্পে মারা গেলেন, তাদের পারলৌকিক
ক্রিয়া অসমে সম্পন্ন হলো। কেন বাংলাদেশে পাঠানো হল না? তবে কেন বাংলাদেশি দাবি করে ডিটেনশন ক্যাম্পে ভরে
দেওয়া হল?
তিনি বলেন, অসম সরকার যেভাবে মিথ্যা বাংলাদেশি সাজিয়ে ভারতীয়
নাগরিকদের হয়রানি করে চলেছে, সেইভাবে কায়দা
দেখিয়ে নথিপত্র পরীক্ষা করলে রাজ্যের বড় বড় নেতাদের জেলে যেতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট রায়
দিয়ে বলেছেন ৫ বছর পর্যন্ত জেল খাটাদের ছেড়ে দিতে হবে। অসম সরকার ৭০০ বন্দিকে ছেড়ে
দেওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে নারী ঘটিত অপরাধ এবং দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্তদের ছাড়া হবে
না। মানবাধিকার কর্মী জামসের আলী দাবি করেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা
মামলায় জড়িয়ে দেওয়া নিরোপরাধি ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দিদের সকলকে বিনা শর্তে মুক্তি দিতে
হবে। রাজ্যের জাস্টিস অ্যান্ড লিবার্টি ইনিশিয়েটিভ নামে এক সংগঠন সুপ্রিম কোর্টে
এক আবেদন করে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি সকলকে অবিলম্বে মুক্তি দেবার দাবি জানিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই