Header Ads

২১ দিনের লকডাউন: নিয়ম ভাঙলে কোন কোন শাস্তি হতে পারে জানুন !!

 বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 
করোনার প্রকোপ রুখতে ভারতে ২৪ মার্চ থেকে ৩ সপ্তাহের জন্য লক ডাউন ঘোষিত হয়েছে। এই লকডাউন আগামি ৩ সপ্তাহের জন্য। ১৪ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এই লকডাউন থাকবে।

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক অভূতপূর্ব সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ভারত। আর সেই প্রেক্ষাপটেই এমন ঐতিহাসিক ঘোষণা এদিন করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। এমন পরিস্থিতিতে কোন কোন শাস্তি লাগু হতে পারে ,নিয়মের বাইরে গেলে, দেখে নেওয়া যাক।
কোনও সরকারি কর্মীকে এমন পরিস্থিতিতে তাঁর কাজে বাধা দিলেই শাস্তি হতে পারে। এমনকি রাজ্য বা কেন্দ্রের তরফে আসা নির্দেশ পালিত না হলেও হতে পারে শাস্তি। যার সাজা এক বছরের জেল বা
১০০০ টাকা জরিমানা হতে পারে। নিয়ম না মানায় কারোর মৃত্যু হলে, তার সাজা আরও ভয়ানক হতে পারে।
কোনও মিথ্যে তথ্য দিয়ে কোনও মিথ্যা দাবি যদি কেউ এই সময় করে তাহলে তার ২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পাারে শাস্তি হিসাবে। ত্রাণের কাজে লাগা পণ্য বা টাকা যদি কেউ এই সমচ নয়ছয় করে বা নিজে কুক্ষিগত করে তাহলে শাস্তি হতে পারে। ভুল বার্তা ছড়িয়ে কাউকে ভ্রান্ত সতর্কীকরণ করলেও লকডাউনের সময় শাস্তি হতে পারে।
এমন সময় কোনও সরকারি কর্মচারিও যদি কোনও অন্যায় কাজ করেন তাহলেও তা আইনের বাইরে যাবে না। যে দফতরের কর্মী অন্যায় করবেন ,তার দফতর যদি পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে সেই দফতরের কর্তাকেও শাস্তি পেতে হবে।
যদি কোনও সরকারি কর্মী এমন আপৎকালে নিজেকে কর্তব্য থেকে সরিয়ে নেন তাহলে তাঁকেও মুখোমুখি হতে হবে শাস্তির। এতে জরিমানা ও হাজতবাস হতে পারে। এছাড়াও সেকশন ৬৫-এর আওতায় যদি কোনও সরকারি কর্মী আইন বিরুদ্ধ কাজ করে তাহলেও হাজতবাসের সাজা হতে পারে।
যদি কোনও নির্দেশ কোনও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এই সময় আপৎকালীন পরিস্থিতিতে  না মানলেও শাস্তি হতে পারে। এছাড়া এই সময় কোনও কর্পোরেট হাউস বা সংস্থা যদি নিয়ম না মানে তারও কড়া শাস্তি হতে পারে। এতে ত্রাণের কাজে যদি কোনও সংস্থা বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে তাদের শাস্তি হবে। যদি কেউ এক্ষেত্রে প্রমাণ করতে পারে যে সংস্থার অজান্তেই ভুল হয়েছে তাহলে শাস্তি মুকূব হলেও হতে পারে। তবে যদি দোষ পাওয়া যায় তাহলে শাস্তি হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.