Header Ads

ডিজিপি ভাস্করজ্যোতি মহন্তের হুঁশিয়ারি লকডাউন ভঙ্গকারিদের এন ডি এম আইনে জামিনবিহীন ১ বছরের জেল দেওয়া হবে, হোয়াটস আপ, ফেস বুকে মিথ্যা, ভুয়ো খবর দিলেও কড়া শাস্তি


অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : করোনা ভাইরাসের মত মারাত্বক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে প্রধানমন্ত্রী ২১ দিন অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল পৰ্যন্ত দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছেন। লকডাউন প্রায় কারফিউ আইনের প্রায় সমপর্যায় তবে অত্যাবশ্যকীয় জরুরি কাজে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়না, এই প্রথম দেশের ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইনের অধীনে সমগ্র দেশে লকডাউন লাগু করা হলো, আজ রাজ্যের পুলিশ প্রধান ভাস্করজ্যোতি মহন্ত লকডাউন আইনের কথা জানিয়ে বলেন, এই আইন ভঙ্গকারিদের বিরুদ্ধে এন ডি এম আইন লাগু করা হবে, যে আইনে বছর জামিন বিহীন জেল জরিমানার ব্যাবস্থা আছে। তিনি আজ সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই আইন ভেঙে যারা রাজপথে নেমে আসবে, তাদেরকে গ্রেফতার করে জেলে ভরা হবে, কোনো ধরনের আপোষ করা হবে না। ডি জি পি মহন্ত অভিযোগ করেন, গতকাল থেকে রাজ্যে লকডাউন শুরু হয়েছে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে একাংশ ইচ্ছাকৃতভাবে পথে নেমে আসছে, ঘরে থাকছে না। তার এই হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও আজ দেখাগেল গুয়াহাটি সহ তেজপুর,  ডিব্রুগড়, মাজুলি, শিলচর, ধুবড়ি প্রভৃতি শহরে একাংশ যুবক পথে নেমেছে, অনেকে বাইক, সাইকেল নিয়ে পথে, পুলিশ লাঠিচার্জ করে নিল ডাউন করে রখে, আটক করেও পথ-ঘাট জন শূন্য করতে বার্থ্য হয়। লকডাউনর সুযোগে ছোট বড় সব ব্যাবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ভোগ্য সামগ্রীর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। স্যানি টাইজার,  ডেটল, মাস্ক, ফিনাইল প্রভৃতি বাজার থেকে উধাও, শুধু রাজধানী নগরী গুয়াহাটি নয়, সাদিয়া থেকে ধুবড়ি, শিলচর করিমগঞ্জৰ্যন্ত একই ছবি লকডাউন এখনো ৪৮ ঘন্টা হয়নি, চলবে ১৪ এপ্রিল পৰ্যন্ত,  আগামীদিনে ভয়ানক পরিস্থিতি হবে, তা সজয়েই অনুমেয়। বাজারে আলুর দাম ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি আজ তা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০ টাকা আজ দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, একটি ডিম টাকা থেকে বেড়ে ৭ থেকে ৮ টাকা, হাঁসের ডিম ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা প্রতিটি। বাজারে সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের কোনো নিয়ন্ত্রন নেই, খাদ্যমন্ত্রী ফনি ভূষণ চৌধুরী আজ সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে দাবি করেন রাজ্যে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত আছে। শুধু ক্ষ চাল মজুত আছে। ডাল, তেল ও যথেষ্ট মজুত আছে। এছাড়া, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন দরিদ্র সীমার তলে এবং গরিব ৫২ক্ষ পরিবারকে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ ও সাংবাদিক সম্মেলনে আশ্বাস দিয়ে বলেন,  রাজ্যে যে পরিমান খাদ্য মজুত আছে, তিন মাস চলে যাবে। তিনি নিজে বাঁচতে পরিবারকে বাঁচাতে, জাতিকে বাঁচাতে ২১ দিন ঘরে থাকার পরামর্শ দেন, সামাজিক ব্যাবধান বা সোশ্যাল ডিস্টেন্স রক্ষার আহবান জানান। এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ডি জি পি ভাস্করজ্যোতি মহন্ত আর বলেন, হোয়াটস আপ, ফেসবুকে যারা মিথ্যা, ভুয়ো খবর দেবে তাদের বিরুদ্ধে এন ডি এম আইনে শাস্তিমূলক বাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা সাংবাদিকদের জানান,  রাজ্যের টি হাসপাতালকে করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। সরুসোজাই স্টেডিয়াম এবং নেহেরু স্টেডিয়াম টেন্ট খাটিয়ে ২০০০ বেড তৈরি করা হচ্ছে, সেখানে বাইরে থেকে আসা মানুষদের কয়রারেন্টিনে রাখা হবে। জানান আজ পৰ্যন্ত একটিও পজিটিভ কেস ধরা পড়েনি। মিজোরামের এক যুবক নেদারল্যান্ড থেকে এসে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে। এর আগে মণিপুরের এক যুবতী লন্ডন থেকে এসে এইরোগে আক্রান্ত হয়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এনিয়ে দুটি পজিটিভ কেস ধরা পড়লো। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ অভিযোগ করেন, এই রোগের উপসর্গ কাশি, জ্বর নিয়ে অনেকে বাইরে থেকে এসে দোকানে জ্বরের ট্যাবলেট কিনে, রোগ লুকাচ্ছে, তাদের ধরার জন্যে সরকার নতুন প্রযুক্তি  তৈরি করেছে,  রাজ্যের যেকোনো ফার্মাসি থেকে রোগ লুকানো মানুষ জ্বরের ট্যাবলেট কিনলেই পুলিশ তাকে ধরবে, এই রকম নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। তিনিও অভিযোগ করেন, অনেকে জায়গতে মানুষ ঘরের বাইরে বেরোচ্ছে। একমাত্র ঘরে আবদ্ধ রাখতে পারলেই মানুষ বাঁচবে, জাতি বাঁচবে।ভয়ঙ্কর এই মারণ ব্যাধি কোভিড ১৯ দেশে বিদেশে দ্রুত বেড়ে চলেছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.