Header Ads

লকডাউন চলাকালীন প্রাণ হারালেন চা-বাগান সুরক্ষা বাহিনীর কনস্টেবল...



শুভজিৎ রায়, শিলচরঃ লকডাউনের চতূর্থদিনে অসতর্ক ও অসচেতনার ঘেরাটোপে নিম্ন অসম এলাকা। সচেতন করতে দস্তুরমতো ব্যর্থ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিধায়ক সহ জিলা প্রশাসন। তাছাড়া,  অসমের প্রভাবশালী স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নির্দেশ অমান্য করার এক জ্বলন্ত উদাহরণস্বরূপ লকডাউন চলাকালীন আসাম পুলিশের চা-বাগান সুরক্ষা বাহিনীর কর্তব্যরত এক কনস্টেবলের প্রাণ দিতে হলো ব্যস্ত থাকা জনতার হাতে। ঘটনাটি সোনাই বিধানসভার অধীনস্ত সোনাবাড়িঘাট এলাকার। ঘটনার সুত্রপাত সব্জি বাজারে। সামান্য এক বিবাদের জেরে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে মারের চোটে গুরুতর আহত হন বক্তারউদ্দিন বড়ভূঈয়া নামে এক নিরাপত্তা কর্মী। 

ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মাঝপথেই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, কোনো অবস্থায় সরকারী কোনো নির্দেশ মেনে চলতে রাজি নন এই এলাকার স্থানীয় জনগণ। তাই লকডাউন এর নির্দেশকে রীতিমতো বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে মাছ-মাংস ইত্যাদির ব্যবসা।

সরকারী নির্দেশ, পুলিশ-প্রশাসন কোনো কিছুরই পরোয়া করেনা তারা। উল্টো, এক অশান্তিকর ও উত্তেজিত পরিবেশ তৈরি করে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যবসা। এরই সুত্র ধরে পুলিশ প্রশাসনের সাবধানতার পাল্টা আক্রমণেই এই নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু হয় বলে সচেতন মহলের দাবি। উল্লেখ্য, বক্তারউদ্দিন অন্যত্র এক চা-বাগানে সুরক্ষা বাহিনীর (আসাম পুলিশ ইউনিট)-এর  আসাম টি সিকিউরিটি ফোর্সের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। 

এবং ঘটনা চলাকালীন তিনি কর্তব্যরতই ছিলেন বলে জানা যায়। একাংশ সংগঠনের দাবি এই নারকীয় ঘটনা ঘটানোর জন্য এই নরপিশাচ তথা দেশদ্রোহীদের হায়দ্রাবাদের এনকাউন্টার প্রয়োজন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.