Header Ads

করিমগঞ্জে মালেগড় টিলা পর্যটন স্থান হিসাবে চিহ্নিত করা হয়নি : কেশব মহন্ত



অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের সময় ভারতীয় সেনারা চট্টগ্রামের ট্রেজারি লুট করে বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ জেলার লাতুতে অবস্থিত মালেগড় টিলায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানে বৃটিশ সেনাদের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষ হয়। তার ফলে ২৬ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান। এবং ছয়-সাত জন বৃটিশ সেনা নিহত হয়। এই সেই শহিদদের স্মৃতি বিজরিত মালেগড় টিলার সংরক্ষণের জন্য অসম বিধানসভায় বার বার দাবি তোলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, করিমগঞ্জ জেলার লাতুতে অবস্থিত মালেগড় টিলাকে অসম প্রাচীন কীৰ্তিচিহ্ন হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে সংরক্ষণ করা হবে। আজ অসম বিধানসভায় উত্তর করিমগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ এবিষয়টি উস্থাপন করে অবিলম্বে মালেগড় টিলাকে সংরক্ষণের দাবি জানান। তিনি বলেন, বরাকের ভাষা শহিদদেরও আজও স্বীকৃতি জানানো হল না। সরকার বিষয়টি নিয়ে সিরিয়াসনয়। বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এই অভিযোগ করে পুরকায়স্থ মালেগড় টিলার বিস্তৃত ঐতিহাসিক প্রতিবেদন তুলে ধরার দাবি জানান। তিনি ১৮ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক দিবসটি উদ্যাপনের দাবি জানান। ১৮৫৭ সালে ১৮ ডিসেম্বর মালেগড়ে এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। স্থানীয়ভাবে দিবসটি পালন করা হলেও সরকারের পক্ষ থেকে দিনটি উদ্যাপনের ব্যবস্থা করা হয় না। জবাবে বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংস্কৃতিক পরিক্রমা বিভাগের মন্ত্রী কেশব মহন্ত বলেন, ১৯৯৭ সালে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে স্মৃতি বিজরিত করিমগঞ্জ জেলার মালেগড় টিলাটি প্রত্নতত্ব বিভাগের অসম প্রাচীন কীৰ্তিচিহ্ন, তথ্য অধিনিয়ম ১৯৫৯ সালে এবং অসম প্রাচীন কীৰ্তিচিহ্ন তথ্য বিধি ১৯৬৪ বিধির অধীনে এখনও অন্তর্ভুক্ত হয়নি। প্রত্নতত্ব বিভাগের অধীনে আসার পর মালেগড় টিলার ইতিহাস উদ্ধার করা সম্পর্কে সরকার বিবেচনা করবে। মালেগড় টিলাকে পর্যটক স্থান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার বিষয়টি পর্যটন বিভাগের অন্তর্গত। পর্যটন বিভাগের জানানো তথ্য অনুযায়ী করিমগঞ্জ জেলার মালেগড় টিলার পর্যটন স্থান হিসাবে চিহ্নিত করা হয়নি। তবে মালেগড় টিলা পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ২০০৭-০৮ অর্থ বছরে ২০.২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল। সেই টাকায় করিমগঞ্জ জেলার ডেপুটি কমিশনার কিছু কাজ করেছিলেন। যেহেতু করিমগঞ্জ জেলার মালেগড় ২৬ জন স্বাধীনতা সেনানীকে সমাধিস্থ করা হয়, তাই প্রত্নতাত্বিক বিভাগে খননের আবশ্যকতা নেই। করিমগঞ্জ জেলার লাতুর মালেগড় যেহেতু প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে নেই। তাই ইতিহাস বিজড়িত ওই স্থানকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলা যাচ্ছে না। মন্ত্রী বলেন, ১৮ ডিসেম্বর এই ঐতিহাসিক দিনটি উদ্যাপনের জন্য সরকারি প্রশাসন যাতে সহযোগিতা করে তার ব্যবস্থা করা হবে। মন্ত্রীর এই জবাবে প্রশ্নকর্তা কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ খুশি হতে পারেননি। আলগাপুরের এআইইউডিএফ বিধায়ক নিজামউদ্দিন চৌধুরী পুরকায়স্থের উত্থাপিত বিষয়টি সমর্থন করে মালেগড় টিলা সম্পর্কে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.