Header Ads

বাংলায় করোনা টেস্ট নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য তরজা তুঙ্গে! মমতাকে দোষারোপ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্টে !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
কোভিড-১৯ মোকাবিলা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলোধনা করছেন কেন্দ্রকে। রাজ্যে পর্যাপ্ত কোভিড-১৯ টেস্টিং কিট নেই বলেও অভিযোগ ছিল মমতার।
এমন পরিস্থিতিতে পাল্টা তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হর্ষ বর্ধন। যার জেরে করোনা টেস্টিং নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য তরজা তুঙ্গে উঠেছে।

হর্ষবর্ধনের রিপোর্ট এল রাজভবনে.. যেখানে বলা হয়েছে... কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নিশনায় রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তোলেন যে করোনা টেস্টিং এর জন্য মাত্র ৪০ টি কিট কেন্দ্র পাঠিয়েছে বাংলায়। যা পর্যাপ্ত নয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ৪০ টি টেস্টিং কিটের ১০ শতাংশেরও কম ব্যবহার করেছে বাংলা ! কেন্দ্রের বার্তা ৪০ টি কিট মানেই ৪০ টি টেস্ট নয়!
মমতার রাজ্য নিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, বাংলায় নাইসেড , পিজি, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে এই কোভিড-১৯ টেস্টিং চলছে। যার মধ্যে, নাইসেড হাজারটি টেস্ট করতে সমর্থ তবে হয়েছে মাত্র ১৫৭ টি টেস্ট। পিজিতে ৪০ টি টেস্ট হয়েছে, বাকি রয়েছে ১০৯৮টি টেস্ট ! মেদিনীপুরে ২০০ টির মধ্যে ২ টি টেস্ট হয়েছে এবং উত্তরবঙ্গেও ২০০টির মতো টেস্ট হওয়ার পর্যাপ্ত পরিস্থিতি রয়েছে।
একটি কিটে ৭০ থেকে ১০০ টি টেস্ট হতে পারে। ফলে ৪০ টি
কিট মানেই যে ৪০ টি টেস্ট, তা নয় বলে দাবি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। এছাড়াও যাদের মধ্যে করোনার লক্ষণ রয়েছে , তারাই একমাত্র এই টেস্ট করতে পারবেন বলে নির্দেশ রয়েছে আইসিএমআরএর।
এর আগে, করোনা ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা।তিনি বলেন, বাংলাকে করোনা মোকাবিলায় যোগ্য সহযোগিতা করছে না কেন্দ্র। উপযুক্ত পরিকাঠামো থেকে টেস্টিং কিট সমস্ত নিয়েই তিনি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। যা নিয়ে পাল্টা তোপ দাগেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির বার্তা--করোনার মতো সংকটকালে রাজনীতি করছেন মমতা। যাতে এই সময় কেন্দ্র-রাজ্য তরজা তুঙ্গে ওঠে তার জন্য উস্কানি দিচ্ছেন মমতা।
অন্যদিকে বাবুল সুপ্রিয় একটি ভিডিও ক্লীপিংসের মাধ্যমে কাগজপত্র তুলে ধরে ধরে মমতা যে মিথ্যা প্রচার করে চলেছেন সে কথা রাজ্যবাসীর সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেন।
এদিকে,করোনা ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের রিপোর্ট আর কেন্দ্রের রিপোর্টের মধ্যে গরমিলের অভিযোগ তোলেন রাজ্যপাল। তিনি সেই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট চেয়ে পাঠান। আর তাতেই মমতা সরকারকে দোষারোপ করা হয়। যদিও রাজ্যপাল বলেন, এই সময়ে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করাটা উচিত নয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.